বাংলাহান্ট ডেস্ক: পাকিস্তানের অবস্থা (Pakistan Crisis) নিয়ে এ বার চাঞ্চল্যকর তথ্য দিলেন পর্যবেক্ষকরা। প্রতিবেশী দেশের সাধারণ মানুষের দুর্দশা নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই। প্রতিদিনের খাবার জোগাড় করতে হিমশিম খাচ্ছে আম জনতা। খাদ্যশস্যের ঘাটতির পাশাপাশি অবশিষ্ট পণ্যের দামও গিয়েছে ধরা ছোঁয়ার বাইরে। একইসঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে বেকারত্ব। প্রতিদিন হাজার হাজার পাকিস্তানি চাকরি খোয়াচ্ছেন। এখন পাকিস্তানের রাস্তায় কান পাতলে কেবল হাহাকারই শোনা যাচ্ছে।
তথ্য বলছে, ২০২৩ সালে লক্ষাধিক মানুষ কর্মহারা হবেন। পাকিস্তানের সংবাদপত্র ডনের রিপোর্ট অনুযায়ী, চলতি বছর প্রায় ৬২.৫ লক্ষ মানুষ বেকার হয়ে পড়বেন। অর্থাৎ সে দেশের গোটা কর্মশক্তির ৮.৫ শতাংশ মানুষই কর্মহারা হয়ে পড়বেন। এই সংখ্যা বাড়লে পাকিস্তানের বেকারত্বের হারও বৃদ্ধি পাবে। এদিকে শেহবাজ শরিফের সরকার আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের শর্ত অনুযায়ী খুব শীঘ্রই একটি মিনি বাজেট পেশ করতে চাইছে।
তবে এই মিনি বাজেট পাকিস্তানের জন্য একটি বড় সমস্যা হতে পারে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের শর্ত যদি মানা হয়, তাহলে গ্যাস, বিদ্যুৎ, পেট্রোল সমেত সব জিনিসের দাম আরও বাড়বে। এর ফলে পাকিস্তানের বিদেশি মুদ্রার ভান্ডার আরও কমে যাবে। এই মুহূর্তে তাদের কাছে মাত্র ৪.৬ বিলিয়ন ডলারের ভান্ডার রয়েছে। আইএমএফ থেকে অগ্রিম কিছু অর্থ সাহায্য আসতে পারে বলে জানিয়েছে পাক সরকার। এদিকে পাকিস্তানের বন্ধু দেশগুলিও তাদের থেকে মুখ ফিরিয়েছে এই কঠিন সময়ে।
এই পরিস্থিতিতে মিনি বাজেট কিছুতেই পিছোতে পারবে না পাক সরকার। কিন্তু এই বাজেট পেশ হলে বেকারত্ব আরও বেড়ে যাবে বলে মত অর্থনীতিবিদদের। পাকিস্তানে মোট ২৫ কোটি মানুষের বাস। এর মধ্যে ৬২.৫ লক্ষ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ বেকার। এই পরিস্থিতির ফলে আগামী দিনে অপরাধ বাড়বে পাকিস্তানে। এ বার এই বেকার মানুষরা কেবল পাকিস্তানের জন্যেই নয়, ভারতের জন্যেও বিপদ আনতে পারে। পাকিস্তানের বিভিন্ন সন্ত্রাসবাদী সংগঠন এমনই বেকার যুবকদের খোঁজে থাকে।
ভারতের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করতে এবং হামলা চালাতে এই যুবকদের কাজে লাগায় জঙ্গী সংগঠনগুলি। তাই দেশের এত বড় অংশ যদি বেকার থাকে, তাহলে সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলির জন্য তাঁদের ব্যবহার করা সহজ হবে। ২০২৩ সালে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক সঙ্কটের উন্নতির কোনও সম্ভাবনাই দেখছেন না বিশেষজ্ঞরা। আগামী বছর কিছুটা ঘুরে দাঁড়াতে পারে প্রতিবেশী দেশটি। এমন আশা করছেন অর্থনীতিবিদরা।