বাংলাহান্ট ডেস্ক : জাতীয় পরিষদে অনাস্থার মুখে পড়ে পাকিস্তানে আজই হয়ত শেষ দিন ইমরান খান সরকারের। এর ঠিক আগে, শুক্রবার পাকিস্তানের জনগনের উদ্দ্যেশ্যে ভাষণ দেন তিনি। এই ভাষণে বিরোধীদের কটাক্ষ করার সময় লক্ষ্যনীয় ভাবে ভারতের পররাষ্ট্রনীতির প্রশংসায় পঞ্চমুখ হতে দেখা যায় তাঁকে।
এদিন তিনি বলেন, ‘ভারত নিজের সার্বভৌমত্ব নিয়ে খুব গর্বিত। কোনও পরাশক্তি তাদের জন্য শর্ত ঠিক করতে পারে না। কেউ তাদের চোখের দিকে তাকানোর সাহস পায় না। তারা রাশিয়া থেকে তেল কিনছে, যদিও এটি নিষিদ্ধ। আমি পাকিস্তানের জন্যও তাই চাই। আমিও বুঝি এবং আমিও জনগণের উপকারকেই প্রাধান্য দিই।’
আসলে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিদেশ নীতির প্রশংসা করে নিজের দেশের বিদেশনীতিকেও ন্যায্য হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করছিলেন ইমরান খান। শুধু তাইই নয়, একই সঙ্গে তাঁর সরকারের উপর সেনাবাহিনীর চাপ ঠিক কতটা তা বোঝানোরও চেষ্টা করছিলেন।
ভারত একটি গণতান্ত্রিক দেশ। এদেশের সেনাবাহিনী সরকারের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করে। ভারতের কোনও নীতিতেই কখনও হস্তক্ষেপ করে না সেনাবাহিনী। কিন্তু এই ছবিটাই সম্পূর্ণ উলটো পাকিস্তানে। সেদেশে প্রতি মুহুর্তে সরকারকে চাপে ফেলছে সেনাবাহিনী। আর এই চাপেরই সম্মুখীন হয়েছেন ইমরান খান। সেই কারণেই তিনি এদিন ভারতের পররাষ্ট্রনীতির কথা বলে নিজের উপরের চাপের প্রসঙ্গ তুলে আনতে চান।
উল্লেখ্য, ইউক্রেন রাশিয়া যুদ্ধের সময় মস্কোতেই ছিলেন ইমরান খান। সেই সময় আমেরিকা তাঁর সরকারের পতনের ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে বলে অভিযোগ আনেন তিনি। কিন্তু ইমরানের এই রাশিয়ার সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা পছন্দ করেননি পাক সেনাপ্রধান বাজওয়া। প্রকাশ্যেই রুশ হামলার সমালোচনা করে আমেরিকার প্রশংসা করেন পাক সেনানায়ক। তাঁকে সেবার এও বলতে শোনা যায় যে আমেরিকা থেকে দূরে যেতে পারে না পাকিস্তান।
কিছুদিন আগেই, ভারতেরও ভুয়সী প্রশংসা করতে দেখা যায় বাজওয়াকে। এমনকি কাশ্মীরের মত অতি সংবেদনশীল ইস্যু নিয়েও ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক আলোচনা সারতে রাজি দেশ, জানান তিনি।