বাংলা হান্ট ডেস্ক : আবারও নিজের নাক কাটাল পাকিস্তান (Pakistan)। কয়েকদিন আগেই পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শহবাজ শরিফ (Shahbaz Sharif) দাবি করেন আন্তর্জাতিক মুদ্রা ভান্ডারের (IMF) উপদেষ্টা খ্রিস্টিলিনা জর্জিবা নাকি নিজে তাঁকে ফোন করেন এবং পাকিস্তানের অর্থনৈতিক সংকট নিয়ে জানতে চান। এই দাবির পরই আইএমএফ সরকারি ভাবে বিবৃতি দিয়ে জানায় পাকিস্তানের এই দাবির কোনও বাস্তবতা নেই।
আবারও আন্তর্জাতিক স্তরে অপমানিত হল ভারতের পড়শি দেশ। অবশ্য এটা পাকিস্তানের জন্য নতুন কোনও ঘটনা নয়। বেঁফাস দাবি করে এর আগেও বেইজ্জত হয়েছে সে দেশ। অর্থনৈতিক সংকটে জেরবার দশা শরিফের দেশের। হাজার চেষ্টা করেও সংকট মুক্ত হওয়া তো দূরের কথা, আরও জড়িয়ে যাচ্ছে তারা। এরই মধ্যে গত শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী দফতর থেকে বিবৃতি দিয়ে জানান হয় আন্তর্জাতিক মুদ্রা ভান্ডারের ওই আধিকারিক ফোন করে শহবাজ শরিফের সঙ্গে কথা বলেছেন। এই দাবিকে সমর্থন করেন শরিফ নিজেও।
এরপর, আইএমএফ-এর স্থানীয় প্রতিনিধি এস্থর পেরেজ একটি সংবাদমাধ্যমের সাক্ষাৎকারে জানান, ‘পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী সেদেশের আন্তরাষ্ট্রীয় সম্মলনের বিষয়ে কথা বলার জন্য আইএমএফ-এর উপদেষ্টাকে অনুরোধ করেন।’ এরপরই পুরো বিষয় সামনে। মিথ্যা বিবৃতি দেওয়ার ট্রোল হতে থাকেন শহবাজ শরিফ। এই ঘটনার পর অবশ্য পাকিস্তান সরকারের তরফ থেকে কোনও বিবৃতি দেওয়া হয় নি।
তবে পরিস্থিতি যে দিকে গড়াচ্ছে তাতে আরও বিপদে পড়তে পারে পাকিস্তান। জানা যাচ্ছে, মিথ্যা বিবৃতি দেওয়ার জন্য মারাত্মক ক্ষুব্ধ আইএমএফ। পাকিস্তানের আর্থিক সংকটে আন্তর্জাতিক মুদ্রা ভান্ডার আর কোনও সাহায্য না করতেও পারে বলে জানা যাচ্ছে। এর আগে থেকেই ঋণ শোধের কথা দিয়েও বারবার ব্যর্থ হওয়ার আইএমএফ-এর সঙ্গে সম্পর্ক মোটেও ভালো নয় পাকিস্তানের। তারউপর এই মিথ্যা বিবৃতি দেওয়ার ঘটনা সেই সম্পর্ককে আরও জটিল জায়গায় নিয়ে যাবে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহল।