বাংলাহান্ট ডেস্ক : ডুবতে বসেছে অর্থনীতি, মাথার উপরে ঋণের পাহাড়। এর মধ্যে আবার সম্প্রতি আন্তর্জাতিক মুদ্রা ভাণ্ডার বড় অঙ্কের ঋণ দিয়েছে পাকিস্তানকে (Pakistan)। তবে এবার ভিক্ষাবৃত্তি থেকে বিরত থাকার পণ নিল প্রতিবেশী দেশ। কোয়েটায় সেনাবাহিনীর সঙ্গে কথোপকথনের সময় বড় ঘোষণা করলেন পাক (Pakistan) প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ। দেশের প্রাকৃতিক সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহার দেশের জনগণকে বোঝাতে হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
দুর্বল অর্থনীতি থেকে ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া পাকিস্তান (Pakistan)
শনিবার কোয়েটার পাক সেনাবাহিনীর উদ্দেশে বক্তব্য রাখতে দেখা যায় পাক প্রধানমন্ত্রীকে। শরিফ হুঙ্কার দিয়ে বলেন, ‘ভিক্ষার বাটি নিয়ে আর লোকের দোরে দোরে ঘুরবে না পাকিস্তান। সমগ্র বিশ্ব তা দেখবে। দেশের প্রাকৃতিক সম্পদের পূর্ণ ব্যবহার করতে হবে আমাদের। নির্দিষ্ট জায়গায় তা ব্যবহারও করতে হবে। আমি এবং সেনাপ্রধান আসিম মুনির সেই দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়েছি’।
চিনকে বন্ধু বলে দাবি শরিফের: এদিন আবারও চিনের প্রতি কৃতজ্ঞতা এবং বন্ধুত্বের কথা শোনা যায় শরিফের মুখে। একই সঙ্গে তুরস্কের প্রতিও ‘বন্ধুত্ব’এর কথা বলেন পাক (Pakistan) প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, আগামী দিনে চিনের সঙ্গে আরো বাণিজ্য করবে পাকিস্তান। চিনকে পুরনো এবং ‘বিশ্বস্ত’ বন্ধু বলে উল্লেখ করে শরিফ আরো বলেন, সৌদি আরব, তুরস্ক, কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরশাহীও সঙ্কটের সময় পাশে থেকেছে পাকিস্তানের।
আরো পড়ুন : ‘আইটেম-হারাম’ শব্দে আপত্তি সেন্সরের, কাঁচি চলল একাধিক দৃশ্যে, বিরাট চমক নিয়ে মুক্তি পাচ্ছে ‘হাউজফুল ৫’
সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে সরব শরিফ: নজিরবিহীন ভাবে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধেও এদিন মুখ খুলতে দেখা গিয়েছে পাক (Pakistan) প্রধানমন্ত্রীকে। সন্ত্রাসবাদ দমনে সকলকে একত্রিত হওয়ার বার্তা দিয়ে তিনি বলেন, পাকিস্তানের মাটিতে জঙ্গিবাদকে প্রশ্রয় দেওয়া চলবে না। সন্ত্রাসবাদ দমনে সক্ষম হলে দেশ উন্নতির শিখরে পৌঁছাবে বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ।
আরো পড়ুন : অনুমতি বাতিল করেছিল সেনা! রেডরোডেই হবে ইদের নমাজ, আসরে নেমে জট কাটালেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী
উল্লেখ্য, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদকে প্রশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ বহুবছর ধরে করে আসছে ভারত। তবে সাম্প্রতিক সময়ে পহেলগাঁও হামলার পরেই বিশ্বমঞ্চে মুখ পুড়েছে পাকিস্তানের। উপরন্তু অপারেশন সিঁদুরের পর পাকিস্তানের সঙ্গে সন্ত্রাসবাদের সংযোগের প্রমাণ দেখাতে বিভিন্ন দেশে প্রতিনিধি দল পাঠাচ্ছে ভারত। এমতাবস্থায় পাক প্রধানমন্ত্রীর মুখে সন্ত্রাসবাদ দমনের প্রসঙ্গ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।