বাংলাহান্ট ডেস্ক : এমনিতেই ভারতের প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তানের (Pakistan) অর্থনৈতিক অবস্থা বেশ কয়েক বছর ধরে টালমাটাল। তার মধ্যে ফের সে দেশে মাথাচারা দিয়ে উঠেছে মূল্যবৃদ্ধি। সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে চলে গেছে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম। খাদ্যদ্রব্যের মূল্য এখন আকাশ ছোঁয়া।
আটা ,গমের মতো নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্য কিনতে পাকিস্তানের জনগণের নাভিশ্বাস ওঠার অবস্থা। একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, কিছুদিন আগে করাচিতে এক কিলো আটা বিক্রি হচ্ছিল ২৩০ পাকিস্তানি টাকায়, সেখানে বর্তমানে এক কেজি আটার দাম পৌঁছেছে ৮০০ পাকিস্তানি টাকায়। ভারতীয় মুদ্রায় এর মূল্য ২৩৮ টাকা।
আরোও পড়ুন : ‘আমি মোদীজির বড় ভক্ত’, বিজেপিতে যোগ দিয়েই বললেন বিখ্যাত বাঙালি অভিনেত্রী
২৫ পাকিস্তানি মুদ্রায় করাচিতে বিক্রি হচ্ছে এক একটি রুটি। পাকিস্তানের সংবাদপত্র ডন বলছে, গত কয়েক মাসে পাকিস্তানে মূল্যবৃদ্ধির হার ৩৮ শতাংশ, যা দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ। ৪৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে খাদ্যদ্রব্যের মূল্য। পাকিস্তান পরিসংখ্যান ব্যুরোর রিপোর্ট বলছে, গত এক বছরে ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে রান্নার গ্যাস থেকে বিদ্যুৎ, নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম।
আরোও পড়ুন: মাত্র ২১ বছরেই রোজগার কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা! সৌরভ কন্যা সানার স্যালারি দেখলে চোখ কপালে উঠবে
এই রিপোর্ট অনুযায়ী, পাকিস্তানের শহর অঞ্চলগুলিতে গত এক বছরে আলুর দাম বৃদ্ধি পেয়েছে ৩৬ শতাংশ। সেখানে টমেটোর দাম ১৮৮ শতাংশ, পেঁয়াজের দাম ৮৪ শতাংশ, মশলার দাম ৪৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ৩১৯ শতাংশ বৃদ্ধি হয়েছে রান্নার গ্যাসের দামে। ৭৩ শতাংশ দাম বেড়েছে বিদ্যুতের। শহরাঞ্চলের পাশাপাশি ব্যাপকভাবে দাম বৃদ্ধি পেয়েছে গ্রামাঞ্চলেও।
কিন্তু এভাবে কেন হু হু করে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে পাকিস্তানে? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এর পেছনে রয়েছে পাকিস্তানের বিপুল ঋণের বোঝা। ঋণ দেওয়ার জন্য পাকিস্তানের উপর বেশ কিছু শর্ত আরোপ করেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা ভান্ডার (আইএমএফ)-ও। সেই শর্তের অংশ হিসেবে পাকিস্তান সরকার ভর্তুকি বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে। এর ফলে সাধারণ জিনিসের দামও এখন আকাশ ছোঁয়া।
সম্প্রতি পাকিস্তানের সংসদে মূল্যবৃদ্ধি সম্পর্কে বলতে গিয়ে ভারতের প্রসঙ্গ টেনে বিরোধী দলনেতা জমিয়তে উলেমা-ই-ফজ়ল (জেইউআই-এফ)-এর প্রধান মওলানা ফজ়লুর রহমান বলেছিলেন, “ভারতের সঙ্গে আমাদের তুলনা করে দেখুন। আজ ওরা (ভারত) সুপার পাওয়ার হওয়ার স্বপ্ন দেখছে। আর আমরা দেউলিয়া হওয়া থেকে বাঁচতে ভিক্ষা করছি।”