বাংলা হান্ট ডেস্ক : চীনের উহান থেকে আসা করোনা ভাইরাসের ভয়ঙ্কর হাড়ে হাড়ে রূপ প্রত্যক্ষ করছে গোটা বিশ্ববাসী। করোনা ভাইরাসের থাবায় কার্যত স্তব্ধ হয়ে গিয়েছে গোটা বিশ্ব। বিশ্বের উন্নতশীল দেশগুলিতেও নিজের তান্ডব লীলা দেখিয়েছে এই করোনা ভাইরাস।
বিশ্বের 95 শতাংশ দেশে ছড়িয়ে পড়েছে এই মারণ ভাইরাস। করোনা ভাইরাসের জন্য এখন লকডাউন চলছে বিশ্বের বেশিরভাগ দেশে। ভারতে গত 24 শে মার্চ থেকে গোটা দেশ জুড়ে লকডাউনের ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এখন ভারতে তৃতীয় দফার লকডাউন চলছে। কবে উঠবে এই লকডাউন তার সদুত্তর আপাতত কারোর কাছে নেই।
কিন্তু সংক্রমণ থাকা সত্ত্বেও এর মধ্যেই লকডাউন তুলে দিতে চলেছে পাকিস্তান। সম্প্রতি, প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ঘোষণা করেন, “অনেক হয়েছে, শনিবার থেকে আর লকডাউন নয়।করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বাড়তে থাকলেও নিরুপায় হয়ে আমরা লকডাউন তুলে নিচ্ছি।”কিছুতেই তার কথা শুনছেন না তার দেশের মানুষ।
পাকিস্তানে লজডাউন করে যে কোনও কাজ হচ্ছে না তা কার্যত স্বীকার করে নেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। সেখানকার মানুষ লকডাউনের নিয়ম অমান্য করে যত্রতত্র রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন সে কারণেই সংক্রমণ বাড়লেও আগামী শনিবার থেকেই গোটা পাকিস্তানজুড়ে লকডাউন তুলে নিচ্ছেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।
অন্যদিকে ভারতের ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে অন্য এক চিত্র। একদিকে তো ভারতের জনসংখ্যা পাকিস্তানের তুলনায় অনেক অনেক বেশি। সেই বিপুল জনসংখ্যার দেশেও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কথা বেশ ভালোভাবেই পালন করেন এই দেশের মানুষ। লকডাউনের সময় প্রধানমন্ত্রীর হাততালি বাজানো ও মোমবাতি জ্বালানোর কথা দেশবাসীর কাছে অনুরোধ করার পর তাকে নিয়ে প্রচুর পরিমানে ট্রোল হয়েছিল।
কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া টাস্কের সময় বারংবার অন্য দৃশ্যের সাক্ষী থেকেছে ভারত।মোমবাতি জ্বালানো হোক বা তালি বাজানো দেশের ৯০ শতাংশ মানুষই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কথা অক্ষরে অক্ষরে পালন করেছেন। সেলিব্রিটি,শিল্পপতি, খেলোয়াড় থেকে শুরু করে দেশের সব বড় মাপের মানুষেরাও তার সব কথা পালন করে সন্মান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীকে।সেদিক থেকে দেখতে গেলে অন্যান্য বিষয়ের মতনই এই ব্যাপারেও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির থেকে অনেক পিছিয়ে পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।