বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ক্ষমতায় আসার পর থেকেই ভারতের বিরুদ্ধে মোর্চা খোলা পাকিস্তানের (Pakistan) প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের (Imran Khan) মাথার চুল পর্যন্ত ঋণে ডুবে। ওনার কাছে দেশের সমস্যা সমাধান করার কোনও উপায় নেই। এক পাকিস্তানি চ্যানেলের সাক্ষাৎকারে ওনাকে যখন জিজ্ঞাসা করা হয় যে, দারিদ্রতার কারণে পাকিস্তানিরা প্রাণ হারাচ্ছেন, তখন ইমরান খান উত্তরে বলেন, ‘কি করব এখন?”
সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, ‘প্রধানমন্ত্রী নিজে বলেন ২ লক্ষ টাকার বেতন পেয়ে ওনার চলছে না, তাহলে পাকিস্তানিদের ১৭-১৮ হাজার টাকার বেতনে কি করে চলবে?” তখন ইমরান খান এর জবাবে বলেন, এই সমস্যার সমাধান হল দেশের সম্পত্তি বাড়ানো। এরপর সাংবাদিক জিজ্ঞাসা করেন, যতদিন দেশের সম্পত্তি বাড়বে না, ততদিন কি মানুষ প্রাণ দিতে থাকবে? তখন ইমরান খান বলেন, ‘কি করব এখন? আপনিই বলুন আমার কি করার আছে?”
পাকিস্তানি মিডিয়া অনুযায়ী, জনসংখ্যার মামলায় বিশ্বের ছয় নম্বর স্থানে থাকা পাকিস্তানের একটি বড় অংশ এখনো বেকার। পাকিস্তানের ৬৪ শতাংশ জনসংখ্যা তিন বছরের নীচে, আর যুবকদের বেকার থাকার হার ৮.৫ শতাংশ। রিপোর্টস অনুযায়ী, পাকিস্তানের ৮০ শতাংশ যুবক মজদুর আর অশিক্ষিত আর তাদের কাছে স্কিলও নেই। আর এই কারণে পাকিস্তানের প্রাইভেট সেক্টরে ট্রেনিংয়ের মূল্য অনেক বেশি। আর এই কারণেই তারা সেই ট্রেনিংয়ের খরচ তুলতে পারে না।
উল্লেখ্য, পাকিস্তানের অর্থনীতি ভেঙে পড়েছে। আর এরকম পরিস্থিতিতে সৌদি আরবের সাথে সম্পর্ক খারাপ হওয়ার ফলে তাদের ২ বিলিয়ন ডলারের ঋণও মেটাতে হচ্ছে। যদিও এই ঋণ তারা নিজের পকেট থেকে মেটায় নি। চীনের থেকে ঋণ নিয়ে সৌদির ঋণ মেটাচ্ছে পাকিস্তান।
বিশেষজ্ঞদের অনুযায়ী, সৌদি আরবককে এক বিলিয়ন ডলারের ঋণ দেওয়ার পর পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় ব্যাংকে বৈদেশিক মুদ্রা ভাণ্ডার ১৩.৩ বিলিয়ন ডলারের হয়ে গিয়েছে। আর এরমধ্যে পাকিস্তান যদি প্রতিশ্রুতি মতো আগামী মাসে বাকি এক বিলিয়ন ডলারের ঋণ মেটায়, তাহলে তাদের ব্যপক সমস্যার মুখোমুখি হতে হবে।