বাংলা হান্ট ডেস্ক : ফের সংবাদ শিরোনামে পাকিস্তান (Pakistan)। পড়শী রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ (Shahbaz Sharif) আজ বুধবার আনুষ্ঠানিকভাবে রাষ্ট্রপতি আরিফ আলভির কাছে জাতীয় পরিষদ ভেঙে দেওয়ার আবেদেন করেন। এরপরই পাকিস্তানে অনুষ্ঠিত হবে দেশের পরবর্তী সাধারণ নির্বাচন।
কী আবেদন করলেন পাক প্রধানমন্ত্রী? শহবাজ শরিফ গতকাল মঙ্গলবার বলেন, ‘বর্তমান সরকারের মেয়াদ পূর্ণ হলে, আমি বুধবারের মধ্যে ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি ভেঙে দেওয়ার জন্য পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন করব। নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত একটি অন্তর্বর্তী সরকার দেশের দায়িত্ব গ্রহণ করবে।’
পাক প্রেসিডেন্টের মত : রাষ্ট্রপতি আলভি হয় অবিলম্বে বিধানসভা ভেঙে দেওয়ার জন্য একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করতে পারেন অথবা, বর্তমান মন্ত্রীসভার সময়সীমা ৪৮ ঘন্টার জন্য বাড়িয়ে তারপরে এটি ভেঙে দেওয়া হবে। এই নিয়ে দ্বিতীয়বার রাষ্ট্রপতি আলভি বিধানসভা ভেঙে দেবেন। প্রথমত, আগের বছরের এপ্রিলে, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান এটি ভেঙে দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন। তবে পরবর্তীকালে সুপ্রিম কোর্ট এই পদক্ষেপ বাতিল করে দেয়।
ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির বিদায়ী অধিবেশন আজ দুপুর ২টায় অনুষ্ঠিত হবে। সেই অধিবেশনেই প্রধানমন্ত্রী শরিফ বিধানসভায় বিদায়ী ভাষণ দেবেন। মন্ত্রিসভার বৈঠক ও বিদায়ী অধিবেশনের পর প্রধানমন্ত্রী ভেঙ্গে দেওয়ার সুপারিশ করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী নিয়োগের জন্য চূড়ান্ত আলোচনার জন্য তিনি বিরোধী দলীয় নেতা রাজা রিয়াজের সঙ্গেও দেখা করবেন বলে জানা যাচ্ছে।
২৫ জুলাই, ২০১৮-এ অনুষ্ঠিত নির্বাচনের পর বর্তমান মন্ত্রীসভা ক্ষমতায় আসে। এর প্রথম অধিবেশন বসে ১৩ আগস্ট। সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য আরও সময় পেতে পাকিস্তানের মন্ত্রীসভা সময়ের আগেই ভেঙে দেওয়া হচ্ছে।