বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পাকিস্তান (Pakistan) সরকার কুকীর্তি সময়ে সময়ে মন্ত্রীরাই ফাঁস করে দেন। এবার পাকিস্তানের বকিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ রাশিদ আহমেদ (Sheikh Rasheed Ahmad) নিজের দেশের মুখোশ খুললেন। রাশিদ কবুল করেছেন যে, আফগানিস্তানের তালিবানি (Taliban) জঙ্গিদের পরিবার পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদ সমেত দেশের বিভিন্ন জায়গায় সুখে শান্তিতে বসবাস করছে। শুধু তাই নয়, তিনি এও বলেন যে, পাকিস্তানের হাসপাতালে তালিবানি জঙ্গিদের চিকিৎসা হয়।
আফগানিস্তান থেকে আমেরিকার সেনাবাহিনী প্রত্যাহারের সময়সীমা কাছে আসতেই পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাশিদ আহমেদ এই বয়ান দেন। তালিবানি গতিবিধির কারণে বিগত কিছু সময় ধরে আফগানিস্তানে গৃহযুদ্ধের মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। আফগানিস্তান বরাবর পাকিস্তানের দিকে আঙুল তুলে অভিযোগ করেছে যে, পাকিস্তানের মাটিতে তালিবানি জঙ্গিরা ফুলে ফেঁপে উঠছে। আরেকদিকে, ইমরানের দেশ এই অভিযোগ অস্বীকার করলেও খোদ পাক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নিজের দেশের মুখোশ নিজেই খুলে দিলেন।
পাকিস্তানি মিডিয়া জিও নিউজকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে রাশিদ বলেন, তালিবানি জঙ্গিদের পরিবার পাকিস্তানে বসবাস করে। তিনি বলেন, তালিবানিদের পরিবার পাকিস্তাএর লোই বের, বারা কাহু, রবাত-এর মতো এলাকায় স্বাছন্দে বসবাস করছে। বলে দিই, পাক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী যেসব জায়গার নাম উল্লেখ করেছেন, সেগুলো ইসলামাবাদের সেফ জোন বলে পরিচিত। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বরাবর তালিবানি জঙ্গিদের আশ্রয় দেওয়ার আর তাঁদের নিজের কার্যসিদ্ধি করার জন্য ব্যবহার করার অভিযোগ ওঠে। তবে তাঁরা সবসময় সেই অভিযোগ খারিজ করে দেয়। কিন্তু এবার ইমরান খানের মন্ত্রীই সবার সামনে পাকিস্তানের মুখোশ খুলে দিলেন।
এটাই প্রথম না, এর আগে খোদ পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান সংসদে দাঁড়িয়ে আল-কায়দার প্রধান ওসামা বিন লাদেনকে ‘শহীদ” তকমা দিয়েছিলেন। সেই সময় ওনার বয়ানে গোটা বিশ্বে সমালোচনার ঝড় বয়ে গিয়েছিল। আর এবার FATF পাকিস্তানকে ফের ধূসর তালিকায় রেখে দেওয়ার পর পাকিস্তানের তথ্য সম্প্রচার মন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরী ড্যামেজ কন্ট্রোলে নেমে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর সেই সময় মুখ ফসকে কথাটা বেরিয়ে গিয়েছিল।”
উল্লেখ্য সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা না নেওয়ার কারণে পাকিস্তানকে ধূসর তালিকাতেই রেখে দিয়েছে The Financial Action Task Force (FATF)। আর FATF-এর এই সিদ্ধান্তের কারণে পাকিস্তানকে আগামী দিনেও চরম সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে। আর এরই মধ্যে তালিবানকে নিয়ে দেওয়া পাক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বয়ান পাকিস্তানের সমস্যা যে আরও বাড়িয়ে তুলবে, সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না।