বাংলা হান্ট ডেস্ক : দীনহীন অবস্থা পাকিস্তানের (Pakistan)। প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ (Shehbaz Sharif) মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক মুদ্রা ভন্ডারের বেলআউট প্যাকেজের কথা স্বীকার করে নিলেন। তিনি দাবি করেন পাকিস্তান একরকম বাধ্য হয়েই আন্তর্জাতিক মুদ্রা ভান্ডারের (International monetary Fund) ঋণ গ্রহণ করেছে। এছাড়া পাকিস্তানের কাছে আর অন্য কোনও বিকল্প ছিল না।
এরই মধ্যে শাহবাজ ভারতের প্রশংসাও করেছেন। তিনি বলেন, ‘দিনের পর দিন ভারত উন্নতি করেছে। কিন্তু পাকিস্তান নিজেদের ভুলের কারণে পিছিয়ে পড়েছে।’ এদিন পেশোয়ারের গভর্নর হাউসে প্রধানমন্ত্রী যুব ল্যাপটপ যোজনা বিতরণ অনুষ্ঠানে যোগদান করেন। সেখানে তিনি বলেন, আমরা নিজেদের ইচ্ছায় আইএমএফ প্রোগ্রামটি বেছে নিইনি। একরকম বাধ্য হয়েই আইএমএফ-র শর্ত মানতে হবে আমাদের। তবে, এই প্রোগ্রামের সাহায্যেই আমাদের অর্থনীতিকে আবার ঘুরিয়ে দাঁড় করাতে হবে।’
শাহবাজ আরও বলেন, ‘মঙ্গলবার সৌদি আরব থেকে পাকিস্তান ২ বিলিয়ন ডলার পেয়েছে। এজন্য তিনি সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ এবং ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানকে ধন্যবাদও জানিয়েছেন। সৌদি আরব থেকে এই অর্থ পাওয়ার জন্য তিনি পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনিরের প্রশংসাও করেন। তবে এটা সমস্যা সমাধানের উপায় নয় বলেও দাবি করেন শাহবাজ। তিনি বলেন, যারা একসময় পাকিস্তানের জন্য জীবন দিয়েছেন তারা অবশ্যই বর্তমান পরিস্থিতি দেখে যথেষ্ট আশাহত হবেন।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী এদিন বলেন, এটা আমাদের নতুন চিন্তা করার শেষ সুযোগ। দেশের উচ্চবিত্ত মানুষদের বিষয়টি বিবেচনা করা উচিত। সময় এসেছে, দেশকে নতুন পথ দেখাবার। পাকিস্তানি যুবকদের আশা জাগিয়ে করে তিনি বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি ও খনিজ সম্পদের উন্নয়ন এবং রপ্তানি বাড়াতে একটি যুগান্তকারী পরিকল্পনা করা হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘ভারত এগিয়েছে কিন্তু নিজেদের ভুলের কারণে আমরা পিছিয়ে পড়েছি।’
শাহবাজ শরীফ বলেন, ‘আজ সিদ্ধান্ত নিতে হবে সৎভাবে বাঁচবো নাকি ভিক্ষা করে বাঁচবো।’ তিনি বলেন, তার সরকার কৃষি ও শিল্পে বিপ্লব ঘটাতে চায় এবং দাম নিয়ন্ত্রণে আনতে চায়। এগুলো আমাদের প্রধান চ্যালেঞ্জ। প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ বলেন, চলতি বছরে দেশের শিক্ষার্থীদের মধ্যে এক লক্ষ ল্যাপটপ বিতরণ করা হবে এবং তা হবে সম্পূর্ণ মেধার ভিত্তিতে। একমাত্র যোগ্যতাই পারে এই দেশকে এই অবস্থা থেকে উদ্ধার করতে।
দলের মধ্যেই অভিষেককে কোণঠাসা করছেন কে? সামনে বিস্ফোরক অভিযোগ…