কিভাবে জনগণকে রক্ষা করতে হয় ভারতের কাছে তা শেখা উচিত পাকিস্তানের: চিনে আটকে থাকা পাক পড়ুয়া

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ভারতের দেখে শেখা উচিত পাকিস্তানের। এমনটাই মনে মনে বলছে বর্তমানে চিনে থাকা পাকিস্তানের পড়ুয়ারা। রবিবার সকালে  দিল্লি বিমানবন্দরে পৌঁছেছে এয়ার ইন্ডিয়া বিমান। চিন থেকে ৩২৪ জন ভারতীয়কে ইতিমধ্যেই ফিরিয়ে আনা হল ভারতে। সেইখানে পাকিস্তানের পড়ুয়াদের জন্য সে দেশের কোনও ভ্রুক্ষেপই নেই।

poka

ভারতের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়েছে, ১৮ জানুয়ারি থেকে বিমানবন্দরে যাত্রীদের জ্বরের জন্য পরীক্ষা করা হচ্ছে। চিন ছাড়াওসিঙ্গাপুর, হংকং, থাইল্যান্ড থেকে আসার যাত্রীদের স্ক্রিনিং করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। সরকারি মতে, ২১ জানুয়ারি পর্যন্ত ২১ টি বিমানবন্দরে ৩২৬ বিমানের কমপক্ষে ৫২,৩৩২ যাত্রীর ভাইরাসটির জন্য স্ক্রিনিং করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত ১৩০টি নমুনা চিহ্নিত করা হয়েছিল, তার মধ্যে ১২৮টি নেগেটিভ হয়েছে, কিন্তু দুটি ক্ষেত্রে পজিটিভ এসেছে বলে জানা গিয়েছে।

চিনের উহান প্রদেশ থেকে ভারতীয় পড়ুয়াদের বাসে করে য়খন নিয়ে আসা হচ্ছিল, পাকিস্তানের পড়ুয়ারা পাশে দাঁড়িয়ে নিতান্তই অসহায় বোধ করছিল। স্বভাবতই তাঁরা মনে করছিল, তাদের দেশও যদি এভাবে তত্পর হত চিন থেকে তাদের পাকিস্তানে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য ।

কিন্তু চিনে নিযুক্ত পাক দূত নাঘমানা হাসমি পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছে,  চিন থেকে পড়ুয়াদের কোনওভাবেই পাকিস্তানে নিয়ে যাওয়া হবে না। কারণ করোনা ভাইরাসের মোকাবিলা করার মতো পাকিস্তানে সেই আধুনিক চিকিত্সা ব্যবস্থা নেই। তাই চিনের থাকতে হবে তাদের। পাকিস্তানে করোনা ভাইরাস মহামারীর আকার নিলে সেখানে পর্যাপ্ত চিকিত্সা ব্যবস্থা না থাকার জন্য আরও বিপদে পড়তে হবে ওই দেশের মানুষকে।

পাক দূতের বক্তব্য, চিনে অত্যাধুনিক ব্যবস্থা রয়েছে, তাই সেখানে আক্রান্ত পাক পড়ুয়াদের ভালোভাবে চিকিত্সা হবে। আর তার সমস্ত দায়িত্ব পাকিস্তান নেবে, সে বিষয়ে আশ্বস্ত করেছে পাক দূত।

 

সম্পর্কিত খবর