বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্কঃ অবশেষে ঘটেছে অপেক্ষার অবসান! গত সপ্তাহেই বহুল প্রত্যাশিত বিশ্বকাপ ২০২৩-এর (ODI World Cup 2023) সময়সূচী প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল। ৪৬ দিন ব্যাপী এই টুর্নামেন্ট আরম্ভ হবে ৫ই অক্টোবর, নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে। বর্তমান বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড এবং নিউজিল্যান্ডের মধ্যে শেষ সংস্করণের ফাইনালের পুনরাবৃত্তি দিয়ে আরম্ভ হবে টুর্নামেন্টটি।
এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপের ভেন্যু নিয়ে গত বছর থেকে বিসিসিআই ও পিসিবির মধ্যে চলছে চাপান উতোর। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডকে (পিসিবি) এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল এবং তারপর আইসিসি উভয়ের কাছেই হাস্যকর পরিস্থিতিতে পড়তে হয়েছিল। কিন্তু শেষপর্যন্ত পাকিস্তানের প্রতিবাদ সত্ত্বেও নিরপেক্ষ ভেন্যুতে এশিয়া কাপ অনুষ্ঠিত হবে। শুধু পাকিস্তান নিজেদের দেশে চারটি ম্যাচ খেলবে। বাকি ম্যাচগুলো সবই আয়োজিত হবে শ্রীলঙ্কায়।
এরপর আইসিসিও পাকিস্তানের যাবতীয় দাবী উড়িয়ে দিয়ে ভারতের মাটিতেই বিশ্বকাপ আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেয়। শুধুমাত্র তাদের একটি দাবিকে মান্যতা দেওয়া হয়েছে। পিসিবি জানিয়েছিল যে নিরাপত্তার কারণে তারা মুম্বাইয়ে কোন ম্যাচ খেলতে চায় না। আমাদের সেই দাবি মেনে আইসিসি ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে পাকিস্তানের কোনও ম্যাচ রাখেনি।
এরপর সকলেই ভেবেছিলেন এই নিয়ে যাবতীয় বিতর্কের অবসান ঘটে গিয়েছে। কিন্তু দেখা গেল নাটক এখনো শেষ হয়নি। এবার এই আসরে অংশগ্রহণ করেছেন পাকিস্তানের জাতীয় ক্রীড়ামন্ত্রী। একটি সাক্ষাৎকারে আহসান মাজারি বলেছেন- “এটা অবশ্যই আমার ব্যক্তিগত মতামত, কিন্তু যেহেতু পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড আমার মন্ত্রকের অধীনে আসে, তাই আমি চাই ভারত যদি তাদের এশিয়া কাপের ম্যাচগুলি নিরপেক্ষ ভেন্যুতে খেলার দাবি করে, আমরা ভারতে আমাদের বিশ্বকাপের ম্যাচগুলির জন্যও একই দাবি করবো।” তবে মাজারির এই বিবৃতি যখন সামনে এসেছে যখন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ শনিবার ভারতে দল পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে সব ধরণের পরিদর্শন করার জন্য একটি উচ্চ-পর্যায়ের কমিটি গঠন করেছেন।
এই কমিটির কাজ হল ভারতে পাকিস্তান ক্রিকেট দল সুরক্ষিতকে না সে বিষয়টি নিশ্চিত করা। বাবর আজমদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পাকিস্তান সরকার একটি প্রতিনিধি দল পাঠাবে ভারতের মাটিতে। পিসিবি জানিয়েছে যে ভারত সফরের আগে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের মূল কর্তব্য হল দেশের সরকারের কাছ থেকে অনুমতি চাওয়া এবং তারপর একটি সুরক্ষা নিশ্চিতকারী দল পাঠিয়ে ক্রিকেট দলের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা।