নিকেশ হচ্ছে একের পর এক লস্কর নেতা! এবার খেল খতম হাফিজ সঈদের শার্প শ্যুটারের, নেপথ্যে কে?

Published On:

বাংলাহান্ট ডেস্ক : পাকিস্তানের (Pakistan) মাটিতে খতম ২৬/১১ মুম্বাই হামলার প্রধান চক্রী হাফিজ সঈদের আত্মীয় তথা লস্কর-ই-তৈয়বার অন্যতম সদস্য আব্দুল রেহমান। সূত্রের খবর, সোমবার করাচি শহরের একটি বাজার এলাকায় প্রকাশ্য দিবালোকে আব্দুল রেহমানের উপর গুলিবৃষ্টি করেন এক অজ্ঞাত পরিচয়ের ব্যক্তি। গুলিতে ঝাঁঝরা  হয়ে মৃত্যু হয় শার্প শ্যুাটার আব্দুল রেহমানের।

পাকিস্তানের (Pakistan) হাফিজ সঈদের ঘনিষ্ঠকে খুন

যে পাকিস্তান (Pakistan) গত কয়েক দশকে সন্ত্রাসবাদীদের ‘আঁতুড় ঘর’ হিসাবে পরিচিত হয়ে উঠেছে, সেই পাকিস্তানের মাটিতেই হাফিজ সঈদের আত্মীয়র এহেন পরিস্থিতি ভাবিয়ে তুলেছে গোটা বিশ্বকেই। বিগত বেশ কিছু বছর ধরেই এই ধরনের আকস্মিক ঘটনায় জর্জরিত পাক প্রশাসন। একদিকে রয়েছে পাকিস্তানি সেনাদের লক্ষ্য করে বেলুচিস্তান লিবারেশন আর্মি এবং তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তানের (Pakistan) বিদ্রোহীদের একের পর হামলা।

আরও পড়ুন : মায়ানমার-থাইল্যান্ডের পর এবার কাঁপল এই দেশ! ভারতের নাকের ডগায় ভয়াবহ ভূমিকম্প

অন্যদিকে রয়েছে পাক মাটিতে অজ্ঞাত পরিচয়ের ব্যক্তিদের হাতে একের পর এক জঙ্গি নেতার গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনা। আজ করাচিতে যে অজ্ঞাত পরিচয়ের ব্যক্তি আব্দুল রেহমানের উপর হামলা চালায় তাকে আগে কেউ দেখেনি বলেই দাবি করেছেন স্থানীয়রা। এমনকি পুলিশ-প্রশাসনের কাছেও ‘অচেনা মুখ’ হামলাকারী এই ব্যক্তি। ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, অজ্ঞাত পরিচয়ের এক ব্যক্তি জিনিস কেনার অছিলায় প্রবেশ করেন আব্দুল রেহমানের দোকানে।

এরপরই আব্দুলকে লক্ষ্য করে গুলি (Shoot) চালান ওই ব্যক্তি। তারপরই সঙ্গে সঙ্গে তিনি পালিয়ে যান ঘটনাস্থল থেকে। আহত আব্দুলকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে, চিকিৎসকেরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। আবার গত শনিবার অজ্ঞাত পরিচয়ের বন্দুকধারীদের হাতে নিহত হন ফয়সল নাদিম ওরফে আবু কাতাল সিন্ধি। দাবি করা হচ্ছে, ফয়সল নাদিম ওরফে আবু কাতাল সিন্ধি সম্পর্কে জঙ্গি হাফিজ সঈদের ভাগ্নে।

অন্যদিকে, মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহে পেশোয়ারে অজ্ঞাত হামলাকারীদের হাতে প্রাণ যায় পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সাথে যুক্ত আইএসপিআর অফিসার মেজর দানিয়ালের। এখনও হামলাকারীদের শনাক্ত করতে পারেনি পুলিশ। পাকিস্তানের বুকে অজ্ঞাত পরিচয়ের ব্যক্তিদের হাতে একের পর এক  খুনের ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা।

Pakistan terrorist Hafiz Saeed sharp shooter dead

একাধিক সংবাদমাধ্যম রিপোর্ট অনুযায়ী, হাফিজ সঈদ প্রতিষ্ঠিত সন্ত্রাসবাদী সংগঠন লস্কর-ই-তইবাকে সমূলে উচ্ছেদের পক্ষে পাকিস্তানের উপর চাপ বাড়াচ্ছে আমেরিকা সহ একাধিক দেশ। সেই কারণেই কি পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ধীরে ধীরে হাফিজ সঈদের ডানা কাটা শুরু করেছে, নাকি এর পিছনে রয়েছে লস্কর-ই-তইবা এবং সন্ত্রাসবাদী সংগঠন জামাত-উদ-দাওয়ার মধ্যে ক্ষমতা দখলের লড়াই? এই প্রশ্নই এখন ঘোরাফেরা করছে বিশ্ব রাজনীতিতে।

 

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর

X