বাংলাহান্ট ডেস্ক : এযে ‘ভুতের মুখে রামনাম’। এবার সন্ত্রাসবাদী মাসুদ আজহারের (Masood Azhar) গ্রেফতারি চাইছে পাকিস্তান (Pakistan)! ইসলামাবাদের (Islamabad) সন্দেহ আফগানিস্তানেই (Afghanistan) লুকিয়ে আছে জেহাদি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদের প্রতিষ্ঠাতা। এই কথা উল্লেখ করে কাবুলের তালিবান সরকারকে চিঠিও দিয়েছে শাহবাজ শরিফ সরকার ৷ এমনই দাবি করছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম।
পাক সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যাচ্ছে, আফগানিস্তানের নানগরহার প্রদেশে লুকিয়ে রয়েছে রাষ্ট্রসংঘের (United Nation) ‘আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী’ তকমা পাওয়া মাসুদ আজহার। সেখান থেকেই সে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ চালিয়ে যাচ্ছে। ইতিহাস বলছে, জম্মু ও কাশ্মীরে সন্ত্রাস ছড়ানোর জন্য মাসুদকে মদত দিয়ে জইশ তৈরি করেছে পাকিস্তানই। আর আজ তাকেই গ্রেফতার করতে চাইছে তারা। ইতিমধ্যেই নাকি আজহারের গ্রেফতারের দাবিতে তালিবানকে চিঠি দিয়েছে পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের প্রশাসন। তবে অনেকেই মনে করছেন এই পদক্ষেপ আসলে বড়সড় একটা মিথ্যা প্রচার। আন্তর্জাতিক মঞ্চের নজর ঘোরাতেই এটা একটি কূটনৈতিক চাল পাক সেনার।
কিন্তু ভারতের শত্রু মাসুদকে হঠাৎ কেন গ্রেফতার করতে চাইছে পাকিস্তান? জানা যাচ্ছে, এফটিএফ-এর সুনজরে থাকতে চাইছে পাকিস্তান। আন্তর্জাতিক সংস্থা ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স (Financial Action Task Force) বা এফএটিএফ গোটা বিশ্বে অর্থপাচার তথা সন্ত্রাসবাদে আর্থিক মদত সংক্রান্ত বিষয়ের উপর কাজ করে। লস্কর ও জইশের মতো জঙ্গিগোষ্ঠীগুলিকে আর্থিক মদত দেওয়া জন্য ২০১৮ সালেই পাকিস্তানকে ‘ধূসর তালিকা’ভুক্ত করে দেয় তারা। এই বিষয়ে সংস্থার তরফে পাক সরকারকে একাধিকবার হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়। সেই সময় বলা হয়, আগামী দিনে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হবে। তারপর থেকেই ধূসর তালিকা থেকে বেরতে মরিয়া প্রচেষ্টা চালাচ্ছে ঋণের দায়ে ডুবতে বসা ইসলামাবাদ।
তবে মাসুদ আজহার গ্রেফতার হলেও ভারতের কোনও লাভ হবে না বলেই মনে করছে আন্তর্জাতিক মহল। এই গোটা প্রক্রিয়াই আসলে পাকিস্তানের নাটক। আইএসআইয়ের হাত রয়েছে মাসুদের মাথায়। গ্রেফতার হলেও পাকিস্তানের জেলে বসেই কাশ্মীরে জঙ্গি কার্যকলাপ চালিয়ে যেতে পারবে মাসুদ আজাহার।