বাংলাহান্ট ডেস্কঃ প্রথমে ভারতের (India) কাছে চাইল ওষুধ, আর এবার চাইল টাকা । ইমরান খান (Imran khan) এবার অর্থ সাহায্য চাইল SAARC অন্তর্ভুক্ত দেশের করোনা ফান্ড থেকে। সমগ্র বিশ্ব যখন করোনা ভাইরাসের ভয়ে আতঙ্কিত রয়েছে, তখন SAARC অন্তর্ভুক্ত দেশগুলোকে একজোট হওয়ার কথা বলেছিলেন ভারত সরকার। এক বৈঠকের মাধ্যমে তারা একত্রিত হয়েছিল।
বৈঠকে ভারত সরকার SAARC অন্তর্ভুক্ত দেশগুলোকে করোনা ভাইরাসের (COVID-19) মোকাবিলা করার জন্য একটি ফান্ড গঠন করতে বলেছিল। পাক সরকার সেই বৈঠকের বিরোধিতা করে সেখানে কাশ্মীর প্রসঙ্গ তুলে ভারতকে কোণঠাসা করতে চেয়েছিল। তখন পাকিস্তানের নিন্দা করেছিল সব দেশ। আর এখন সেই করোনা ফান্ডে ভারত ১০ মিলিয়ন ডলার দিতেই, পাক সরকার তার থেকে ৩ মিলিয়ন ডলার সাহায্য চেয়ে বসে।
বিভিন্ন সমস্যায় বিভিন্ন কারণে টাকা চাওয়ার পর এখন করোনা ভাইরাসকে সামনে রেখে SARRC দেশের অর্থ ভান্ডার থেকে অর্থ সাহায্য চাইছে পাকিস্তান। তারা এখন কমপক্ষে ৩ মিলিয়ন ডলাররে দাবী করছে। সমগ্র বিশ্ব এখন করোনা ভাইরাসের কারণে আর্থিক সংকটে ভুগছে। ঠিক এই সময়ে পাকিস্তানের বিদেশ মন্ত্রকের পক্ষ থেকে SAARC সেকেট্রিয়েটকে এই অর্থ সাহায্যের আবেদন করে। এই দুই পক্ষের মধ্যে টেলিফোন মারফপ্ত এই কথোপকথন হয়।
গত ১৫ ই মার্চ SAARC অধ্যুষিত দেশগুলোর মধ্যে ভিডিও কনফারেন্সিং হয়। সেখানে ভারতের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ভারতের পক্ষ থেকে ১০ মিলিয়ন ডলার দিয়ে এই করোনা ফান্ড গঠন করেন। কিন্তু পাকিস্তান এই ফান্ডে কোনোরূপ অর্থ সাহায্য না করে উল্টে সেখান থেকে ৩ মিলিয়ন ডলার সাহায্য চাইছে। যখন বিশ্বের সব দেশ করোনা ভাইরাসের প্রকোপ থেকে নিজের দেশের নাগরিকদের সুরক্ষিত রাখার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করছে, তখন অন্যদিকে পাক সরকার তার দেশের নাগরিকদের জানায় তাঁদের কাছে করোনা ভাইরাসের প্রতিরোধ করার জন্য ভালো চিকিৎসা ব্যবস্থা নেই।
পাক সরকারের দাবী তারা অর্থের সংকটের কারণে নাগরিকদের সুরক্ষিত করতে পারছে না, কিন্তু অন্যদিকে আবার সন্ত্রাসবাদী কাজকর্ম করতে আতঙ্কবাদীদের প্রতিনিয়ত মদত দিয়ে চলেছে। এমনকি এই সংকটের মধ্যে ভারতের সীমান্ত এলাকায় আতঙ্কবাদী হামলা চালিয়েই যাচ্ছে। পাকিস্তান অর্থ চাওয়ার সময় দেখায় এক বিষয়, আর অর্থ পেয়ে গেল তা সন্ত্রাসবাদী কাজকর্মে ব্যবহার করে।