কাঙাল পাকিস্তানের চাঁদে যাওয়ার শখ! চিনের কাঁধে চেপে পাড়ি পড়শি দেশের

বাংলা হান্ট ডেস্ক: ইতিমধ্যেই চাঁদের মাটিতে ইতিহাস তৈরি করেছে ভারত (India)। তবে, এবার ভারতের সাথে তাল মিলিয়ে চাঁদের উদ্দেশ্যে সফর শুরু করল পাকিস্তান (Pakistan)। এই প্রসঙ্গে জানা গিয়েছে যে, চিনের সহায়তায় চাঁদে পৌঁছনোর পরিকল্পনা করে পাকিস্তান। এমতাবস্থায়, ভারতের প্রতিবেশী দেশ “ঐতিহাসিক” মুন মিশন iCube-Q লঞ্চের প্রস্তুতি নেয়। এদিকে, পাকিস্তানের এই মিশনটি আজ অর্থাৎ শুক্রবার দুপুর ১২ টা বেজে ৫০ মিনিটে লঞ্চ হওয়ার কথা রয়েছে। সবথেকে উল্লেখযোগ্য বিহায় এটি চিনের হাইনান থেকে Chang’e 6 লুনার প্রোব দিয়ে উৎক্ষেপণ করা হবে। গত মঙ্গলবার ইনস্টিটিউট অফ স্পেস টেকনোলজি এই তথ্য সামনে এনেছিল।

জানা গিয়েছে, iCube-Q চিনের সাংহাই ইউনিভার্সিটি এসজেটিইউ এবং পাকিস্তানের ন্যাশনাল স্পেস এজেন্সি সুপারকোর সহযোগিতায় ইনস্টিটিউট অফ স্পেস টেকনোলজি ডিজাইন ও ডেভেলপ করেছে। iCube-Q অরবিটারে দু’টি অপটিক্যাল ক্যামেরা রয়েছে। যা চন্দ্রপৃষ্ঠের ছবি ধারণ করবে। সফল পরীক্ষা এবং অন্যান্য লক্ষ্য পূরণের পর, IQub-Q-কে চিনের Chang’e-6 মিশনের সাথে সংযুক্ত করা হয়।

Pakistan went to the moon on the shoulders of China.

Chang’e-6-এর মাধ্যমে চিনের উদ্দেশ্য: এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, Chang’e-6 হল চিনের ষষ্ঠ চাঁদ অভিযান। যা চাঁদ সম্পর্কিত নতুন রহস্য উদঘাটনের চেষ্টা করবে। এই মিশনের মাধ্যমে চিন চাঁদে গিয়ে কিছু নমুনা সংগ্রহ করবে এবং পৃথিবীতে আসার পর সেগুলি নিয়ে গবেষণা করবে। চিনের এই মিশনটি পাকিস্তানের জন্য বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে রয়েছে। কারণ এটি কিউবস্যাট স্যাটেলাইট iCube-Q বহন করবে। যেটি ইনস্টিটিউট অফ স্পেস টেকনোলজি দ্বারা প্রস্তুত করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: আদানি গ্রুপের ওপর কড়া অ্যাকশন SEBI-র! একইসাথে ৬ টি কোম্পানি পেল নোটিশ

উল্লেখ্য যে, কিউবস্যাট হল এক ধরণের ক্ষুদ্রাকৃতির উপগ্রহ। যেটির আকারে ছোট এবং আদর্শ নকশা রয়েছে। কিউবের আকারে ডিজাইন করা এই স্যাটেলাইট মডুলার উপাদান রয়েছে। এই ধরণের স্যাটেলাইটের ওজন মাত্র কয়েক কিলোগ্রাম হয় এবং এগুলি বিভিন্ন উদ্দেশ্যে মহাকাশে মোতায়েন করা হয়ে থাকে।

আরও পড়ুন: এবারে খোঁজ মিলবে এলিয়েনের? পৃথিবীর সাথে ধাক্কা রহস্যময় লেজারের! চরম খুশি বিজ্ঞানীরা

এই কারণে মহাকাশে নজর রাখছে পাকিস্তান: জানিয়ে রাখি, কিউবস্যাটের আসল উদ্দেশ্য হল মহাকাশে গিয়ে বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে গবেষণা পরিচালনা করা এবং প্রযুক্তির বিকাশ এবং এই দিকে শিক্ষামূলক উদ্যোগ নেওয়া। এই ধরণের স্যাটেলাইট একাধিক মিশনের জন্য ব্যবহার করা হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে পৃথিবীর পর্যবেক্ষণ, রিমোট সেন্সিং, কমিউনিকেশন, জ্যোতির্বিদ্যা এবং টেকনোলজি ডেমন্স্ট্রেশন ইত্যাদি। উল্লেখ্য যে, ভারত এর আগে ২০২৩ সালের অগাস্টে মুন মিশন চন্দ্রযান-৩-এর মাধ্যমে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে সফলভাবে পৌঁছে ইতিহাস তৈরি করেছিল।


Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর