বাংলা হান্ট ডেস্ক: বর্তমানে চরম অর্থনৈতিক সঙ্কটের সম্মুখীন হয়েছে পাকিস্তান (Pakistan)। এমনকি যত দিন এগোচ্ছে ততই জটিল হচ্ছে সেদেশের পরিস্থিতি। যার ফলে রীতিমতো নাজেহাল অবস্থা সরকারের। এমতাবস্থায়, এবার IMF (International Monetary Fund)-এর কাছ থেকে কিছুটা সাহায্য পেতে চলেছে এই পড়শি দেশ।
এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, আগামী ন’মাসের মধ্যে পাকিস্তান IMF-এর কাছ থেকে তিন বিলিয়ন ডলারের ঋণ পাবে বলে জানা গিয়েছে। এদিকে, এই নতুন ঋণ পাওয়ার পর পাকিস্তান IMF-এর চতুর্থ বৃহত্তম ঋণগ্রহণকারী দেশ হিসেবে বিবেচিত হবে। উল্লেখ্য যে, বর্তমানে পাকিস্তান IMF-এর পঞ্চম বৃহত্তম ঋণগ্রহণকারী দেশ হলেও তিন বিলিয়ন ডলারের নতুন ঋণ পাওয়ার পর ওই তালিকায় এক ধাপ এগিয়ে যাবে শরীফের দেশ।
সবথেকে বড় ঋণগ্রহণকারী হল এই দেশ: মূলত, পাকিস্তান ১৯৪৭ সালে গঠনের পর থেকেই অর্থনৈতিক সঙ্কটের মুখোমুখি হয়েছে। তবে, ওয়াশিংটনে স্থিত ঋণপ্রদানকারী প্রতিষ্ঠান IMF-এর সবথেকে বেশি ঋণগ্রহণকারী দেশ হল আর্জেন্টিনা। IMF-এর কাছ থেকে ওই দেশটির ৪৬ বিলিয়ন ডলারের ঋণ রয়েছে। এরপর দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে মিশরের নাম। মিশরের IMF-এর কাছে ১৮ বিলিয়ন ডলারের ঋণ রয়েছে।
পাশাপাশি, তৃতীয় স্থানে রয়েছে ইউক্রেন। ওই দেশটির আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের কাছ থেকে ১২.২ বিলিয়ন ডলারের ঋণ রয়েছে। এমতাবস্থায় বর্তমানে চতুর্থ স্থানে রয়েছে ইকুয়েডর। IMF-এর কাছে ইকুয়েডরের ঋণের পরিমাণ হল ৮.২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
পাকিস্তানের ঋণের পরিমাণ হবে ১০ বিলিয়ন ডলার: জানিয়ে রাখি যে, পাকিস্তানের বর্তমানে IMF-এর কাছে ৭.৪ বিলিয়ন ডলারের ঋণ রয়েছে। কিন্তু ফের ৩ বিলিয়ন ডলারের ঋণ পাওয়ার পর, পাকিস্তানের উপর IMF-এর মোট ঋণ বেড়ে হবে ১০.৪ বিলিয়ন ডলার। এর ফলে ইকুয়েডরকে পেছনে ফেলে IMF-এর চতুর্থ বৃহত্তম ঋণ গ্রহণকারী দেশ হবে পাকিস্তান। মূলত, অর্থনৈতিক সঙ্কটের মধ্যে থাকা পাকিস্তান গত বছরের ভয়াবহ বন্যায় ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এদিকে, গত বছরের রাশিয়া এবং ইউক্রেনের যুদ্ধের ফলেও সমগ্র বিশ্বে মুদ্রাস্ফীতির হার বেড়ে যায়। যার রেশ পড়ে পাকিস্তানেও।
এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, IMF বিশ্বের ৯৩ টি দেশকে ঋণ দিয়েছে। যাদের মধ্যে ১০ টি সর্বোচ্চ ঋণগ্রহণকারী দেশই ৭১ শতাংশ ঋণ নিয়েছে। এই ১০ টি দেশের কাছে IMF-এর ১৫৫ বিলিয়ন ডলারের ঋণ রয়েছে। শ্রীলঙ্কা, নেপাল, উজবেকিস্তান, কিরগিজস্তান, আর্মেনিয়া এবং মঙ্গোলিয়াও IMF-এর কাছ থেকে ঋণ নিয়েছে। যদিও, পাকিস্তানের তুলনায় তাদের ঋণের পরিমাণ অনেকটাই কম।