বাংলাহান্ট ডেস্ক : ভয়ংকর বন্যায় বিদ্ধস্ত পাকিস্তান (Pakistan)। প্রতিবেশী রাষ্ট্রের পাশে দাঁড়িয়ে আন্তরিক সমবেদনা জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বন্যা দুর্গত সাধারণ মানুষের জন্য পাকিস্তানে ত্রাণ পাঠাবার সিদ্ধান্তও নিয়েছিল ভারত। এই পরিস্থিতিতে কাশ্মীর (Kashmir) প্রসঙ্গ টেনে এনে ভারতের সঙ্গে বিরোধিতা খুঁচিয়ে তুললেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ (Shahbaz Sharif)। কাশ্মীরে হত্যালীলা চালাচ্ছে ভারত, শুধুমাত্র সেই কারণেই ভারতের থেকে কোনও রকম সাহায্য নেওয়া যাবে না বলে জানালেন শরিফ।
ভারতের তরফ থেকে সরকারিভাবে সাহায্য পাঠানোর কথা ঘোষণা করা হয়নি। কিন্তু এই প্রসঙ্গ সামনে এনে শাহাবাজ শরিফ বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক রাখা যায়। কিন্তু ভুলে গেলে চলবে না, কাশ্মীরে নির্বিচারে গণহত্যা করছে ভারত। কাশ্মীরীদের মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে। ৩৭০ ধারা বিলোপের পর জোর করে কাশ্মীরকে ভারতের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘এটা রাজনীতি করার সময় নয়। কিন্তু ভারতে সংখ্যালঘুদের অধিকার সুরক্ষিত নয়, এই বিষয়টিও ভুলে গেলে চলবে না।’
মোদির সঙ্গে বৈঠকে বসতেও রাজি শাহবাজ। তিনি বলেছেন, ‘আমরা শুধুমাত্র শান্তি চাই। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) সঙ্গে বৈঠকেও বসতে পারি আমি। দুই দেশের দারিদ্র্য দূর করতে নিজেদের সম্পদ ব্যবহার করাই যায়। কিন্তু তার আগে আমাদের সীমান্তবর্তী সমস্যা সমাধান করতে হবে। তা না হলে দুই দেশের মধ্যে সুসম্পর্ক গড়ে তোলা সম্ভব নয়।’
যদিও শরিফের এই মন্তব্যের কোনও প্রতিক্রিয়া এখনও পর্যন্ত ভারতের তরফ থেকে দেওয়া হয় নি। সোমবারই পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী মিফতাহ ইসমাইল বলেছিলেন, ভারত থেকে খাদ্যশস্য আমদানি করা হতে পারে। ২০১৪ সালে বিজেপি ক্ষমতায় আসার পরে প্রথমবার পাকিস্তানের দিকে সাহায্যের হাত বাড়ানোর কথা ভেবেছিল ভারত সরকার। কিন্তু পাক প্রধানমন্ত্রীর এই জাতীয় মন্তব্যের পরে সেই সম্ভাবনা একেবারে শেষ হয়ে গেল বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহল।