বাংলাহান্ট ডেস্ক : সুখবর পাকিস্তানের (Pakistan) জন্য। আমেরিকা (America) এক বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, তারা পাকিস্তানের এফ-১৬ (F-16) যুদ্ধবিমানকে আরও উন্নত করার জন্য সমস্ত সরঞ্জামের বিক্রি অনুমোদন করেছে। পেন্টাগনের পক্ষ থেকে ৪৫০ মিলিয়ন ডলার মূল্যের একটি চুক্তির কথাও জানানো হয়েছে। তবে জানা যাচ্ছে, নতুন এই চুক্তিতে যুদ্ধবিমানটির জন্য ‘কোনও নতুন ক্ষমতা, অস্ত্র অথবা গোলাবারুদ’ কেনা যাবে না।
এই যুদ্ধবিমান পাকিস্তানের বিমান বাহিনীর প্রধান ভরসা। তবে তাদের কাছে বেশি সংখ্যায় চিনের তৈরি জেএফ-১৭ আছে। ২০১৯ সালে, পাকিস্তান বালাকোট হামলার পর ভারতকে আক্রমণ করার জন্য একই বিমান ব্যবহার করেছিল পাকিস্তান। আমেরিকার এআইএম-১২০ সি-৫ এএমআরএএএম (অ্যাডভান্সড মিডিয়াম-রেঞ্জ এয়ার-টু-এয়ার মিসাইল)-এর সাহায্যে উইং কমান্ডার অভিনন্দন বর্তমানের মিগ ২১ বাইসন বিমানটি গুলি করে নামায় পাকিস্তানের বায়ুসেনা।
এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলির ক্ষমতা মাঝারি রেঞ্জের আর-৭৭ -এর তুলনায় কিছুটা বেশি। আর-৭৭ ব্যবহার করত ভারতীয় বিমান বাহিনীর এসইউ-৩০ এমকেআই এবং এমআইসিএ ব্যবহার করত মিরাজ।
১৯৮১ সালে আফগানিস্তানে সোভিয়েত আগ্রাসনের পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানের কাছে এফ-১৬ জেট বিক্রি করে। আমেরিকার উদ্দেশ্য ছিল এই বিমানগুলিকে সোভিয়েত এবং আফগান জেটের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা। বিদেশ নীতি এবং জাতীয় নিরাপত্তা ওয়েবসাইট ওয়ার অন দ্য রকস একটি রিপোর্টে উল্লেখ করেছে ১৯৮৬ থেকে ১৯৯০ এর মধ্যে, পাকিস্তানি এফ-১৬ অন্তত ১০টি আফগান এবং সোভিয়েত জেট, হেলিকপ্টার এবং পরিবহন বিমানকে গুলি করে ধ্বংস করেছে।
৯/১১ এর পরে পাকিস্তান আমেরিকার সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধে যোগদানের পর পরিস্থিতি আবার নতুন মোড় নেয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ১৮টি উন্নত ব্লক ৫২ এবং এফ-১৬ পাকিস্তানকে বিক্রি করে প্রায় ১.৪ বিলিয়ন ডলারে। সেই সঙ্গে ছিল টার্গেটিং পড এবং ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ার পডও। এরই সঙ্গে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানের পুরানো মডেলের এফ-১৬ এর ৫৩টি বিমানের জন্য মিড-লাইফ আপগ্রেড কিটও বিক্রি করে।