বাংলা হান্ট ডেস্ক: আগেরদিন ম্যাচে ফের অনভিজ্ঞতার খেসারত দিলেন রশিদরা। পাক দলকে মুঠোয় এনেও আলগা করে দিল আফগানিস্তান। ম্যাচে ৩ উইকেটে জয় ছিনিয়ে নিল সরফরাজবাহিনী। আফগানদের হারিয়ে ৪ নম্বরে উঠে এল তারা।
২২৮ রানের টার্গেট বিশ্বকাপে সাধারন বিষয়। কিন্তু এই কম রানের টার্গেট নিয়ে চলতি বিশ্বকাপে দুটি ম্যাচ জিতে নিয়েছে টিম ইন্ডিয়া। আর ২২৫ রানের টার্গেট দিয়ে আফগানিস্তানকেই হারিয়ে দিয়েছে বিরাটবাহিনী। ২৩৩ রানের লক্ষ্য দিয়ে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে দিয়েছে শ্রীলঙ্কা। এদিনও তেমন অঘটন ঘটতেই পারত। পাকিস্তানের উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান ফকর জামান শূন্য রানে আউট হন। এরপর দলকে ধীরে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন ইমাম-উল-হক ও বাবর আজম। দুজনকেই তুলে নেন মহম্মদ নবি। এরপর মহম্মদ হাফিজ, হ্যারিস সোয়েলও বিদায় নেন। রান আউট হন অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদ। ১৫৬ রানে ৬ উইকেট খুইয়ে তখন পরাজয়ের পথে পাক বাহিনী। জয়ের জন্য বোলিং ও ফিল্ডিংয়ে জান লড়িয়ে দিচ্ছেন আফগানরা। কিন্তু বড় মঞ্চে অনভিজ্ঞতার দাম চোকাতে হল রশিদ খানদের। একইসঙ্গে জঘন্য অধিনায়কত্ব করলেন গুলাবদিন নইব। পাকিস্তানের টেলএন্ডারদের চেপে ধরলেন না। ইমাদ ওয়াসিম খুচরো রান নিয়ে দলকে জয়ের দিকে এগিয়ে নিয়ে গেলেন।
একটা সময় প্রয়োজনীয় রান রেট প্রায় দশের কাছাকাছি চলে গিয়েছিল। কিন্তু ৪৭ তম ওভারে পাকিস্তানকে জয়ের রাস্তা দেখিয়ে দিলেন সেই নইব। ওই ওভারেই উঠল ১৮ রান। সেখানেই আত্মবিশ্বাস পেয়ে গেলের ইমাদ। আফগানিস্তানের হাত থেকে ফসকে গেল ম্যাচ। ওই ওভারে ন্যূনতম ৬ রান উঠলে ম্যাচের ফলাফল অন্যরকম হতেও পারত। কিন্তু হল না! নইব তো আছেনই, আম্পায়ারিং নিয়েও থাকছে বিস্তর প্রশ্ন। উইকেটের সামনে ইমাদের পা পেয়ে গিয়েছিলেন রশিদ খান। কিন্তু আউট দেননি আম্পায়ার। ইমাদের ৪৯ রানের ইনিংসটা না থাকলে আজ পাকিস্তানের হার একপ্রকার নিশ্চিত ছিল
টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করে ২২৭ রান তোলে আফগানিস্তান। এদিন শুরু থেকে ইতিবাচক ভঙ্গিতে ব্যাট করেছে তারা। উদ্বোধনী ব্যাটম্যান রহমত শাহ করেন ৩৫। তিনি ফেরার পর বেকায়দায় পড়ে আফগানিস্তান। তখন ১২ ওভারে হারিয়ে ৫৭ রানে হারিয়ে ফেলেছে ৩ উইকেট। ইকরাম আলি ও আসগার আফগান টেনে নিয়ে যান দলকে।
আসগার নিয়ে আসে ৪২ রান। ২৪ রানে ক্রিজ ছাড়ে ইকরাম। তবে আফগানদের দুশো পার করিয়ে দেন নাজিবুল্লা জারদান ও সামিউল্লা সেনওয়ারি। নাজিবুল্লার প্রাপ্তি ৪২।