বাংলা হান্ট ডেস্ক : ভারত (India) ও পাকিস্তানের (Pakistan) মধ্যে রাজনৈতিক সম্পর্ক যতই তলানিতে ঠেকুক না কেন, প্রেমে কোনও বাধা নেই। সীমা হায়দর-শচীনের অপর এক প্রেম কাহিনি এখন সংবাদের শিরোনামে। পাক নাগরিক নাসরুল্লার (Nasrullah) সঙ্গে ভারতের মেয়ে অঞ্জুর (Anju) সম্পর্ক ঘিরে সরগরম নেট দুনিয়া। তারমধ্যে আবার খবর, তারা নাকি বিয়েও করে নিয়েছে। অঞ্জু নাকি এখন নাম বদলে ফতিমা!
সত্যিই কি তাই? নাকি এ নিছকই গুজব? সম্প্রতি এই বিষয়ে মুখ খুললেন পাক নাগরিক নাসরুল্লা। হাজার একটা বিতর্কের মাঝে এবার হলফনামা দিয়ে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করলেন ওই পাকিস্তানি যুবক। গত সোমবার পাকিস্তানি পুলিশ থানায় লিখিত হলফনামা দিয়ে তিনি জানিয়েছেন, ভারতীয় গৃহবধু অঞ্জুকে বিয়ে করার কোন অভিপ্রায় তার নেই। অঞ্জু কেবলই তার বন্ধু।
অন্যদিকে পাক প্রশাসন এই ইস্যুতে জানিয়েছেন, “২০ অগাস্ট শেষ হবে অঞ্জুর ভিসার মেয়াদ। তারপর তাকে পাকিস্তান ছাড়তে হবে।” উল্লেখ্য, গত রবিবার পাক প্রশাসন অঞ্জুর সমস্ত নথিপত্র খতিয়ে দেখেছেন। তারপর তারা জানিয়েছেন, অঞ্জুর কাছ থেকে আপত্তিজনক কোনোকিছুই পাননি তারা।
এদিকে বিষয়টি নিয়ে সংবাদমাধ্যমের সামনেও মুখ খুলেছেন নাসরুল্লাহ। তিনি জানিয়েছেন, রাজস্থানের গৃহবধূ অঞ্জু তার খুব ভালো বন্ধু। এবং তিনি তার পরিবারের বাকি মহিলাদের সাথেই রয়েছেন। যে কয়দিন অঞ্জু থাকবেন, এলাকার দ্রষ্টব্য জায়গায় ঘোরাতে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে তার। এদিকে অঞ্জুও জানিয়েছেন, তিনি নিজের ধর্ম পরিবর্তন করেননি বা অন্য কাউকে বিয়েও করেননি। তাকে নিয়ে যাবতীয় রটনা সবটাই নাকি মিথ্যা।
তাকে নিয়ে সীমার সাথে যে তুলনা টানা হচ্ছে সেই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “সীমার বিষয়টা যতদূর জানি, তাতে ওরা একে অপরকে ভালোবাসে। আমি শুধুই নিজের বন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে এসেছি। বৈধ ভিসা নিয়েই পাকিস্তানে পা রেখেছি আমি। বাড়ি থেকে পালায়নি।” উল্লেখ্য, অঞ্জুর একটি ১৫ বছরের মেয়ে ও ৬ বছরের ছেলে রয়েছে। জানা যাচ্ছে, আগামী ২০ অক্টোবর নিজের সন্তানদের কাছে ফিরে আসবেন এই বধূ।