বাংলা হান্ট ডেস্ক : পাকিস্তানের (Pakistan) সিনঝোরো শহরে বুধবার এক হিন্দু মহিলাকে ধর্ষণ করে খুন করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। চার সন্তানের মা ৪০ বছর বয়সী ওই মহিলার শিরশ্ছেদ করা হয়। শুধু তাই নয়, কেটে ফেলা হয় তাঁর স্তন। পাকিস্তানের প্রথম মহিলা সেনেটর কৃষ্ণা কুমারী একটি টুইটে ওই ঘটনার উল্লেখ করেছেন।
পাকিস্তান পিপলস পার্টির ওই নেতা বলেন, নিহতের শরীর ও মুখ থেকে চামড়া ছাড়ানো হয়েছে। টুইট বার্তায় কৃষ্ণা কুমারী বলেন, মহিলার নাম দয়া ভেল। ৪০ বছর বয়সী বিধবা। তাঁকে নৃশংসভাবে খুন করা হয়। মাথা শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন করা হয়।
পিপিপির জিয়ালা অমর লাল ভেল দাবি করেছেন যে, বুধবার একটি কৃষি জমিতে বিকৃত ওই লাশ পাওয়া গেছে এবং পুলিশ মহিলার পরিবারের কাছ থেকে বিশদ তথ্য সংগ্রহ করেছে। একটি পোস্টমর্টেম করা হয়েছে এবং আরও তদন্ত চলছে।
এই ঘটনা প্রথম নয়। চলতি বছরের সেপ্টেম্বর-অক্টোবর মাসে অভিযোগ ওঠে এক হিন্দু কিশোরীকে অপহরণ করে জোর করে ধর্মান্তর করা হয়। এবং তার পর তাকে বিয়েও করা হয় পাকিস্তানে। পুলিসের কাছে অভিযোগ জানিয়েও লাভ হয়নি কিছুই
জানা যায় গত ২৪ সেপ্টেম্বর সিন্ধ প্রদেশের মিরপুরখাস এলাকার বাসিন্দা মীনা মেঘওয়ার নামে ১৪ বছরের এক হিন্দু কিশোরীকে নসরপুর থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে প্রথমে ইসলামে ধর্মান্তরিত করা হয়। তারপর জোর করে তাকে বিয়ে করা হয়। তার আগে ওই এলাকারই রাখি কুমারী নামে এক তরুণী গৃহবধূকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্মান্তর করে আবার বিয়েতে বাধ্য করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। মীনার বাবা এবং রাখির স্বামী রবি পুলিসের কাছে অভিযোগ জানিয়েও কোন লাভ হয়নি। দু’ক্ষেত্রেই পুলিস যুক্তি দেখায় মীনা এবং রাখি স্বেচ্ছায় বাড়ি ছেড়ে ধর্মান্তরিত হয়।