বাংলা হান্ট ডেস্ক: পাকিস্তানের (Pakistan) বিখ্যাত ব্যবসায়ী এবং শেয়ার বাজারের অভিজ্ঞ আরিফ হাবিব ভারতের (India) সাথে সম্পর্ক উন্নত করার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফের (Shehbaz Sharif) কাছে সবার সামনে আবেদন করেছেন। বুধবার হাবিব জানান, পাকিস্তানের উচিত তার প্রতিবেশী দেশ বিশেষ করে ভারতের সঙ্গে শান্তি স্থাপন করা। এদিকে, আরিফ হাবিবের এই অনুরোধে পাকিস্তানে তুমুল আলোচনা হচ্ছে।
পাকিস্তানের অর্থনৈতিক সঙ্কট নিয়ে আয়োজিত বৈঠকে শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ীদের মধ্যে শেহবাজ শরীফের কাছে তিনি এই অনুরোধ করেন। তিনি বলেন, পাকিস্তানের অবস্থার উন্নতি হচ্ছে। কিন্তু ভারতের সঙ্গে শান্তি স্থাপন করা উচিত। এমতাবস্থায়, বিশ্লেষকরা জানিয়েছেন, পাকিস্তান এখন ভারতকে নিয়ে নিজের ফাঁদে আটকা পড়েছে এবং কি করবে বুঝতে পারছে না।
পাকিস্তানি বিষয়ক বিশেষজ্ঞ ফারান জেফরি বলেছেন, আরিফ হাবিব ভারত সম্পর্কে যা বলছেন তা এখনও পর্যন্ত অনেকেই বহুবার বলেছেন। IMF থেকে শুরু করে সৌদি আরবও এই তালিকায় রয়েছে। পাকিস্তানের সমস্যা হচ্ছে তারা তার সামর্থ্যের বাইরে ঝুঁকি নিয়েছে। আর এইভাবেই নিজের জালে আটকা পড়েছে পাকিস্তান। ভারতের বিরুদ্ধে এই ফাঁদ পাকিয়েছিল পাকিস্তানই। ফারান বলেছেন, পাকিস্তান এখন বুঝতে পেরেছে যে তারা নিজের ইচ্ছায় ভারতের সাথে সম্পর্ক শুরু বা বন্ধ করতে পারবে না। প্রধানমন্ত্রী মোদীর নেতৃত্বে পরিস্থিতি অনেক বদলেছে।
আরও পড়ুন: সস্তার দিক থেকে বিশ্বে দ্বিতীয় স্থানে ভারতীয় পাসপোর্ট, সবথেকে দামি কে? নাম জানলে হয়ে যাবেন “থ”
“পাকিস্তানের উচিত নয়া ভারতের প্রতি অভ্যস্ত হওয়া”: ফারান বলেন, “ভারতেও সাধারণ মানুষের মেজাজ বদলে গেছে। পাকিস্তানি সেনা জেনারেল এবং কূটনীতিকরা যেভাবে অভ্যস্ত ছিল, ভারত এখন আর নেই। এটি এখন একটি উন্নত ভারত। পাকিস্তানকে এটা কঠিনভাবে শিখতে হবে। এমন পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের জন্য শুভকামনা রইল।” উল্লেখ্য যে, ভারত যখন জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা অপসারণ করেছিল, তখন পাকিস্তান আতঙ্কিত হয়ে পরে। শুধু তাই নয়, ভারতের সাথে বাণিজ্য বন্ধ করে তৎকালীন ইমরান খান সরকার পাকিস্তানের জনগণকে বড় ধাক্কা দেয়।
আরও পড়ুন: অনুশীলনে এলেন অথচ করলেন না বল! স্টার্ককে নিয়ে শুরু জোর জল্পনা, কি ভাবছে KKR?
এদিকে, পাকিস্তানি ব্যবসায়ীরা ভারতের মতো বড় বাজার থেকে কোটি কোটি টাকা আয় করতেন। পাশাপাশি, পাকিস্তান ভারত থেকে খুব কম দামে পণ্য পেত। এখন এই বাণিজ্য সিঙ্গাপুর ও দুবাই থেকে হয়। যার জন্য পাকিস্তানিদের বেশি ভাড়া দিতে হয়। এই কারণেই পাকিস্তানের নতুন সরকার তার ভুল বুঝতে পারছে বলে মনে হচ্ছে। সম্প্রতি, পাকিস্তানের নতুন বিদেশমন্ত্রী ইশাক দার ঘোষণা করেছিলেন, তাঁর দেশ ভারতের সাথে বাণিজ্য পুনরায় শুরু করার জন্য ব্যবসায়ীদের পরামর্শ নিচ্ছে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে বিষয়টি এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে।