বাংলাহান্ট ডেস্ক: অর্থনৈতিক সঙ্কটের (Economic crisis) পাশাপাশি পাকিস্তানে (Pakistan) রাজনৈতিক অস্থিরতাও চলছে। একইসঙ্গে সন্ত্রাসবাদের বাড়বাড়ন্তের ফলে সাধারণ নিরীহ মানুষের প্রাণহানি হচ্ছে। পেশাওয়ার, করাচি থেকে লাহোর অবধি সব জায়গায় সন্ত্রাসবাদী হামলা হয়েছে। যার ফলে নাগরিকদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। প্রতিবেশী দেশের বর্তমান অবস্থা নিয়ে সরব হয়েছে তাদের সংবাদমাধ্যমও।
পাক সংবাদমাধ্যম ‘ডন’-এর মতে, ১৯৭১-এর পাকিস্তানের গৃহযুদ্ধের সময়েও এত খারাপ অবস্থা ছিল না। সেই সময় পাকিস্তানের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধ লড়ছিল পূর্ব পাকিস্তান। যেই যুদ্ধের ফলে পূর্ব পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশ তৈরি হয়। পাকিস্তানের বর্তমান অবস্থা নিয়ে মুখ খুলেছেন লেখক ফৈজল সিদ্দিকী।
তিনি লিখেছেন, ‘পাকিস্তানের এই পরিস্থিতির জন্য সবচেয়ে বেশি দায়ী এখানকার রাজনৈতিক ও সামরিক নেতৃত্ব। তারা কোনওদিনই দেশের জন্য সঠিক নীতি বানাতে পারেননি।’ লেখকের মতে, পাকিস্তান তৈরি হওয়ার পর থেকে আজ অবধি কখনই শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর নিয়ে কোনও নীতিই তৈরি হয়নি।
এই কারণে কোনও নেতাই আজ অবধি ক্ষমতা হারানো মেনে নিতে পারেননি। এর ফলে দেশে সন্ত্রাস মাথাচারা দিয়ে উঠেছিল। যা পরবর্তীতে গোটা দেশকেই গ্রাস করে ফেলেছে। সামরিক শাসনের ক্ষেত্রেও একই ছবি। কোনও সেনা জেনারেলই সহজে যেতে চান না।
এমনকী নির্বাচনে জেতা নেতাদেরও একই অবস্থা। তিনি বেনজির ভুট্টো (Benazir Bhutto), নওয়াজ শরিফ (Nawaz Sharif) এবং ইমরান খানের (Imran Khan) নাম উল্লেখ করেছেন। ফৈজল সিদ্দিকীর মতে, এই নেতারা নিজেদের হার সহজে মানতে চাননি। তাই দেশে উত্যপ্ত পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে। সামরিক শাসনে থাকার সময় পাকিস্তানে এমন অনেক ঘটনা দেখা গিয়েছে।
বর্তমানে পাকিস্তানে একপ্রকার একনায়কতন্ত্র চলছে। একদিকে প্রায় দেউলিয়া অবস্থা দেশের। কোনও দেশ এমনকী আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল থেকেও কোনও অর্থসাহায্য পাচ্ছে না তারা। অন্যদিকে, ইমরান খান একটি ‘জেল ভরো’ আন্দোলন শুরু করেছেন। খাইবার পখতুঙ্খা এবং পাঞ্জাবে নির্বাচনের দাবিতে সরব হয়েছেন তাঁর। তাঁদের দাবি না মানা হলে হিংসার হুমকি দিয়েছেন ইমরান।