বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তান কি এশিয়া কাপের ফাইনাল খেলার যোগ্য ছিল? এশিয়া কাপের ফাইনালে শ্রীলঙ্কার কাছে পাকিস্তানের অসহায় আত্মসমর্পণের পর অনেকেই এই প্রশ্নটা তুলছেন। টুর্নামেন্ট শুরু হওয়ার আগে বেশকিছু তারকা পেসারকে পাকিস্তানের নির্বাচকরা চোটের জন্য এশিয়া কাপের স্কোয়াড থেকে ছেঁটে ফেলতে বাধ্য হয়েছিল। কিন্তু সেই প্রভাব যেন টেরই পাওয়া যায়নি।
শাহীন আফ্রীদি দের অনুপস্থিতিতে নাসিম শাহ, হ্যারিস রউফরা যথেষ্ট ভালো বোলিং করেছেন এবং পাকিস্তানকে দেখে একবারও মনে হয়নি যে তারা তাদের প্রধান পেসারদের ছাড়া এই টুর্নামেন্টে খেলতে নেমেছেন। পাকিস্তানের বোলিং আক্রমণের গভীরতা কতটা সেটা আরো একবার চলতে টুর্ণামেন্টে প্রমাণ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু সেজন্য তাদের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে তা হলো পাকিস্তানের ব্যাটিং লাইন-আপ।
সদ্যসমাপ্ত এশিয়া কাপে পাকিস্তানের ব্যাটিং লাইনআপ একেবারেই ধারাবাহিকতা দেখাতে পারেনি। যে ব্যাটিং লাইনআপের শক্তিতে ভরপুর হয়ে পাকিস্তান গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতকে বিশ্রীভাবে হারিয়েছিল পৌঁছেছিল বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল অবধি, সেই ব্যাটিং লাইনআপই এশিয়া কাপের চূড়ান্ত ফ্লপ। মাত্র মোহাম্মদ রিজওয়ান শুধুমাত্র এই দলে ধারাবাহিকভাবে ভালো ব্যাটিং করে গিয়েছেন।
ভক্তরা সবচেয়ে বেশি আশ্চর্য হয়েছিল বাবর আজমের ফর্ম নিয়ে। তিনি টি-টোয়েন্টি ব্যাটসম্যানদের র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষে ছিলেন কিছুদিন আগেও। কিন্তু চলতি এশিয়া কাপে তার সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত স্কোর ছিল মাত্র ৩০। বিশ্বকাপের আগে অধিনায়কের এই ফর্ম নিয়ে খুবই চিন্তিত পাকিস্তানের ক্রিকেটপ্রেমীরা।
কিছুদিন আগে বিরাট কোহলি যখন ব্যাট হাতে চূড়ান্ত খারাপ সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিলেন তখন বাবর আজম টুইট করে তার পাশে দাঁড়িয়ে বলেছিলেন যে এই খারাপ সময় কেটে যাবে। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে বিরাট কোহলি যিনি এই টুর্নামেন্টে দুর্দান্ত ফর্মে ছিলেন এবং আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে ম্যাচে শেষ ২৮ বলে যে রান করেছিলেন (৭১), বাবর আজম গোটা টুর্ণামেন্টে তত রান (৬ ম্যাচে ৬৮) করতে পারেননি। বিশ্বকাপের আগে পাক অধিনায়ক ফরমের না ফিরলে খুবই সমস্যায় পড়বে গোটা পাকিস্তান দল।