বাংলাহান্ট ডেস্ক: গত বছরও ধুমধাম করে পালন হয়েছে জন্মদিন। এ বছর দিনটা সম্পূর্ণ আলাদা। মানুষটাই যে আর নেই। রয়েছে গিয়েছে শুধু তাঁর সঙ্গে জড়িয়ে থাকা স্মৃতি অভিনেত্রী পল্লবী দে (Pallavi Dey)। ২৩ ফেব্রুয়ারি ছিল তাঁর জন্মদিন। বিশেষ দিনটায় মেয়ের স্মৃতি আরো বেশি করে ঘিরে ধরেছে হতভাগ্য বাবা মাকে। পল্লবী থাকলে সবটাই তো অন্য রকম হতে পারত।
গত বছর ১৫ মে গড়ফার একটি ফ্ল্যাট থেকে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় পল্লবীর। তাঁর অকালমৃত্যুর ঘটনা নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছিল সমগ্র বিনোদন জগতে। ছোটপর্দায় বেশ পরিচিত মুখ ছিলেন পল্লবী। তাঁর মৃত্যুতে একটা বড় ধাক্কা খেয়েছিল টেলিপাড়া। দেখতে দেখতে কাটতে চলল এক বছর। ইন্ডাস্ট্রি শোক কাটিয়ে উঠলেও মেয়েকে ভুলতে পারেননি বাবা মা।
২৩ ফেব্রুয়ারি ছিল পল্লবীর মৃত্যুর পর প্রথম জন্মদিন। অন্যবার এই দিনটা একরাশ আনন্দ বয়ে আনে প্রয়াত অভিনেত্রীর পরিবারের কাছে। এ বছর সবই আলাদা। সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে কেঁদে ফেলেন অভিনেত্রীর বাবা। জানান, গত বছর ক্লাবে পার্টি হয়েছিল মেয়ের জন্মদিনে। খাওয়াদাওয়া, হইহুল্লোড় সব হয়েছিল। তার কয়েক মাস পরেই চিরতরে হারিয়ে গেলেন পল্লবী।
প্রয়াত অভিনেত্রীর বাবা জানান, এ বছর পল্লবীর কয়েকজন বন্ধুবান্ধব বলেছিল বাড়িতে এসে কেক কাটবে। পরিবারে এখনো শোকের ছায়া। কথা বলার পরিস্থিতিতেই নেই পল্লবীর মা। মেয়ের স্মৃতি আঁকড়েই বেঁচে রয়েছেন তাঁরা। অভিনেত্রীর জন্মদিনে মন খারাপ ইন্ডাস্ট্রির বন্ধু, অনুরাগীদেরও। সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে পল্লবীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তাঁরা।
গত ১৫ মে গড়ফার ফ্ল্যাট থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার হয় পল্লবীর দেহ। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে আত্মহত্যা বললেও প্রেমিক তথা লিভ ইন সঙ্গী সাগ্নিক চক্রবর্তীর বিরুদ্ধেই খুনের অভিযোগ আনেন অভিনেত্রীর বাবা মা। তারপরেই পুলিসি হেফাজতে নেওয়া হয় সাগ্নিককে।