বাংলাহান্ট ডেস্ক: খুব বেশিদিন হয়নি স্টার জলসায় শুরু হয়েছে ‘পঞ্চমী’ (Panchami)। কিন্তু এর মধ্যেই সিরিয়ালের টিআরপির তুলনায় ট্রোলের মাত্রা বেশি হয়ে যাচ্ছে। এমনিতেই অতিলৌকিক বিষয়বস্তু নিয়েই এই মেগার গল্প, যা বাংলা সিরিয়াল জগতে খুব একটা দেখা যায়নি। তাই প্রথম দিন থেকেই বারবার নিন্দার মুখে পড়ছে পঞ্চমী। এবার অবধারিত ভাবে বিয়ের ট্র্যাকেও ট্রোলড হল স্টারের এই মেগা।
কখনো দুর্বল ভিএফএক্সে আধা নাগিন আধা মানুষ দেখিয়ে, কখনো আবার জলের তলায় পঞ্চমীর সাঁতার কাটা দেখিয়ে যেচে ট্রোলারদের আহ্বান জানিয়েছেন নির্মাতারা। এমনকি জলের মধ্যে পঞ্চমীর সাঁতার কাটার দৃশ্যটাকে কমোডে টিকটিকির সঙ্গেও তুলনা করা হয়েছিল। তবুও টনক নড়ে না নির্মাতাদের।
সিরিয়ালে বিয়ের ট্র্যাক এমনিতেই বিতর্কিত। মেগা সিরিয়ালে বিয়ে নাকি কখনো সহজ স্বাভাবিক ভাবে হতে পারে না। হয় মালা উড়ে গলায় পড়বে, নয়তো থালা সুদ্ধ সিঁদুর উড়ে নায়িকার সিঁথিতে পড়বে, কিংবা ধাক্কা মেরে, মাদক খাইয়ে বিয়ে হবে। এছাড়া বর বা বউ পালানো তো আছেই। মোদ্দা কথা, কোনো না কোনো নাটক হবেই। পঞ্চমীর ক্ষেত্রেও ব্যতিক্রম হয়নি।
সম্প্রতি কিছু সিরিয়ালে ট্রেন্ড দেখা যাচ্ছে, নায়িকা নিজেই নিজের সিঁথি রাঙিয়ে নিচ্ছে। পঞ্চমীতে অবশ্য তেমন কিছু হয়নি। এখানে নায়ক কিঞ্জল নিজেই পঞ্চমী এবং খলনায়িকা চিত্রা দুজনের সিঁথিতেই সিঁদুর পরিয়ে দিয়েছে। তাও আবার একই মণ্ডপে, একই সঙ্গে। কাণ্ড দেখে চোখ কপালে দর্শকদের।
কারোর প্রশ্ন, এখানে হচ্ছেটা কী? কেউ আবার কটাক্ষ করেছেন, প্রথম সপ্তাহে ভাল টিআরপি পেয়ে এই হাল। এখন দুই সতীন নাগিন মিলে চুলোচুলি করবে। কারোর মতে, এবার ৩ এ নেমে যাবে টিআরপি। কয়েকজন তো পঞ্চমীর বদলে ‘গাঁজাঞ্চমী’ নাম দিয়ে দিয়েছে সিরিয়ালের।
নায়িকা সুস্মিতা দে অবশ্য ট্রোল সম্পর্কে ওয়াকিবহাল। তাঁর কথায়, যে যতই খারাপ বলুক না কেন, তাতে তাঁর কিছুই যায় আসে না। কারণ মানুষ খারাপ বলছে, চর্চা করছে মানেই সিরিয়ালটা তারা দেখছে। কাজ দেখা নিয়ে কথা, মন্তব্য করেছিলেন সুস্মিতা।