বাংলাহান্ট ডেস্কঃ ৫০ লক্ষ টাকা এসেছিল শ্মশান ও রাস্তা সংস্কারের জন্য। কিন্তু রাস্তা কই? কাজ কই? ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে গ্রামের একমাত্র শ্মশানের জন্যে আসা সব টাকাই তুলে নিয়েছেন পঞ্চায়েত প্রধান ও তাঁর স্বামী- এমনটাই অভিযোগ করেছেন গ্রামবাসীরা।
ঘটনাটি ঘটেছে মালদহের (maldah) কালিয়াচক ৩নং ব্লকের সাহাবাজপুরে। সেখানেরই সাহাবাজপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ও তাঁর স্বামী সহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে এই আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। জানা গিয়েছে, অভিযুক্তদের মধ্যে তৃণমূল, বিজেপি, কংগ্রেস- তিন দলেরই সদস্য রয়েছে। যথারীতি নিজেদের দিকে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছে অভিযুক্তরা।
সূত্রের খবর, ওই এলাকার শ্মশান এবং তৎসংলগ্ন এলাকা বহুদিন ধরেই খারাপ হয়ে পড়ে রয়েছে। সেই কারণে গ্রামবাসীদের দাবী ছিল, এসবের সংস্কার করা হোক। নাহলে বর্ষার সময় সৎকার্য করতে আসা মানুষজনকে নানারকম ভোগান্তির শিকার হতে হয়।
সেইমত ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পের অধীনে প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়। আর সেখানে থেকেই এই কাজের জন্য বরাদ্দ করা প্রায় ২৭ লক্ষ টাকার ভুয়ো বিল তৈরি করে, নিজেরাই আত্মসাৎ করে নিয়েছেন পঞ্চায়েত প্রধান ও তাঁর স্বামীসহ আরও কয়েকজন। এমনটাই অভিযোগ করেছে গ্রামবাসীরা।
ঘটনার বিষয়ে পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, ‘আমাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। ইচ্ছাকৃত ভাবে ফাঁসানো হচ্ছে। এই ঘটনার কোন সত্যতা নেই। কোন টাকাই আত্মসাৎ করেনি পঞ্চায়েত প্রধান’।
আবার এই প্রসঙ্গে শ্মশানের সেক্রেটারি রমেন্দ্রনাথ সরকার জানান, ‘শ্মশানের সংস্কারের জন্য বরাদ্দ হওয়া ৫০ লক্ষ টাকা প্রধানরাই আত্মসাৎ করেছেন। টাকা এসেও শ্মশানের উন্নতি করা হল না, এটার প্রয়োজন ছিল। আমরা সকলেই চাই প্রধানের শাস্তি হোক’।