সৌতিক চক্রবর্তী,বোলপুর,বীরভূমঃ বীরভূম জেলার পাঁড়ুই থানার অন্তর্গত কসবা গ্রাম পঞ্চায়েতের সিয়ালা গ্রামে রাস্তাঘাট ও অন্যান্য পরিষেবা থেকে বঞ্চিত। সেই কারনেই আজ স্থানীয় বাসিন্দারা ক্ষিপ্ত হয়ে কসবা গ্রাম পঞ্চায়েত ঘেরাও কর্মসূচি করে।
ছবিঃ বিক্ষোভে সামিল স্থানীয় বাসিন্দারা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এই গ্রামে রাস্তা পুরোপুরি ভাবে বেহাল। ঠিকমতো স্কুলে যেতে পারে না ছাত্রছাত্রীরা। আবার হাসপাতালে রুগিও ঠিকমতো নিয়ে যাওয়া হয় না। নেই ড্রেন সেই কারণে রাস্তার উপর দিয়েই ড্রেনের জল মরে। এছাড়াও বিভিন্ন অভিযোগ নিয়ে ওই গ্রামের বাসিন্দারা পঞ্চায়েত ঘেরাও কর্মসূচি পালন করে।
এক স্থানীয় বাসিন্দার কথায়, “রাস্তা খুবই খারাপ। কোনো রুগিকে ঠিকমতো হাসপাতালে নিয়ে যেতে পারি না। তাকে বাড়িতে বসেই মরতে হয়। পড়ুয়ারা ঠিকমতো স্কুলে যেতে পারে না। তারা ঘর থেকে স্কুল যাওয়ার পথে রওনা দিলেও রাস্তা খারাপ থাকার জন্য অর্ধেক রাস্তা গিয়ে আবার বাড়ি ফিরে আসে। রাস্তার
দুপাশে ড্রেন নেই। তাই ড্রেনের জল রাস্তা দিয়েই মরে। ফলে আরোও কর্দমাক্ত হয়ে পড়ে রাস্তাটি। আমরা আরোও অনেক সুযোগ সুবিধা পাচ্ছি না। সেই জন্য আজ এই আন্দোলন বেছে নিয়েছি।” অভিযোগ,”আমরা ভোট দিচ্ছি। কিন্তু সুযোগ সুবিধা কেনো পাবো না। এইরকম রাস্তা পশ্চিমবঙ্গে আর একটাও নেই। আমরা ঠিকমতো শিক্ষা,দীক্ষা পাইনা। এখানে শুধু নিঃশ্বাস টুকুই পাই। আমাদের বেঁচে থাকার থেকে মরে যাওয়া অনেক ভালো। আমাদের দাবি, প্রশাসন যাতে তাড়াতাড়ি এই মোকাবিলার সমস্যা সমাধান করতে পারে তাহলেই আমরা খুশি।”
আর এক স্থানীয় বাসিন্দা জানান, “আমরা খুব কষ্টের সহিত এখানে দিন কাটাচ্ছি। প্রশাসন এই বিষয়ে তড়িঘড়ি ব্যবস্থা করুক।”
আমাদের প্রতিনিধি প্রশ্ন করে, আপনারা কী এই বিষয়ে ‘দিদি কে বলো’ তে ফোন করেছিলেন। প্রশ্নের উত্তরে উনি জানান, “এইরকম কিছু জানি না। আর করাও হয়নি।”
আরোও এক স্থানীয় বাসিন্দা জানান, “এই বিষয়ে আমরা পঞ্চায়েত প্রধানের কাছে একাধিকবার অভিযোগ জানিয়েছিলাম।কিন্তু ওনি বলেছিলেন ভোটের পর সব কাজ হয়ে যাবে। কিন্তু আমাদের প্রশ্ন, ভোট কবে হয়ে গেছে। কিন্তু এখনো কোনো সুরহা পেলাম না কেনো?”