বাংলাহান্ট ডেস্ক : দোরগোড়ায় কড়া নাড়ছে জামাই ষষ্ঠী। এই দিনে জামাইদের শ্বশুর বাড়িতে আদর আপ্যায়নের কোনো খামতি থাকে না। ওইদিন জামাইবাবাজীদের ভুরিভোজেরও কোনো অন্ত থাকে না। বছরের বাকি দিন শ্বশুর বাড়িতে আদর পেলেও এই দিনটা যেন বিশেষ।
সকাল থেকেই শ্বাশুড়ি মা হেঁসেলে কোমর বেঁধে শুরু করে দেন জামাই আদরের প্রস্তুতি। পাঁচ রকম ভাজা থেকে শুরু করে জামাইয়ের পছন্দের হরেকরকম পদ। কিন্তু বর্তমান ব্যস্ত জীবনে অনেক ক্ষেত্রেই জামাইকে আপ্যায়ন করতে রেস্তোরাঁ বা হোম ডেলিভারি থেকেও বিভিন্ন পদ অর্ডার করে থাকেন শ্বাশুড়ি মায়েরা। আর সেই আয়োজনের জন্য শ্বশুর-শ্বাশুড়িদেরও বেজায় পরিশ্রম করতে হয়।
আর এবার পঞ্চায়েত দফতরের উদ্যোগে সেই পরিশ্রম কিছুটা হলেও কমতে পারে। পঞ্চায়েত দফতরের অধীন ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল কমপ্রিহেনসিভ এরিয়া ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশনের’ উদ্যোগে জামাইষষ্ঠীর দিন বিশেষ আয়োজন করা হয়েছে। বাংলার জামাইদের সস্তায় মহাভোজ করানোর সুযোগ থাকছে সরকারি উদ্যোগেই। ৮২৪০৬২২৩৪৬, ৯৭৩৪৩৯৯৯১৫, ৮১৭০৮৮৭৭৯৪ এই তিনটে নম্বর বাড়ি বসেই জামাইষষ্ঠীর দিন খাওয়ার অর্ডার করতে পারবেন আপনি। ৩ জুন পর্যন্ত অর্ডার করা যাবে বলে জানানো হয়েছে। মাত্র ৫০০ টাকার বিনিময়ে পেয়ে যাবেন মহাভোজ।
বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হয়েছে, ৫০০ টাকার দুটি আলাদা কোম্ব থালি থাকছে। একটিতে থাকবে, কড়াইশুঁটি দেওয়া গন্ধরাজ ভাত, সেই সঙ্গে ইলিশ পাতুরি, ঝাড়গ্রামের বনমুরগির মাংস, আনারসের চাটনি এবং শেষ পাতে একটি শক্তিগড়ের ল্যাংচা। দ্বিতীয় থালিটায় থাকছে, কড়াইশুঁটি দেওয়া গন্ধরাজ ভাত, গলদা চিংড়ির মালাইকারি, ঝাড়গ্রামের পাঠার মাংস এবং আনারসের চাটনি, শক্তিগড়ের ল্যাংচা। সেই সঙ্গে ইলিশ পাতুরি, গলদা চিংড়ির মালাইকারি, ঝাড়গ্রামের বন মুরগির মাংস বা পাঠার মাংস আলাদা করে অর্ডার করা যাবে। তবে অর্ডার বাতিল করতে হলে তা ২৪ ঘন্টা আগে জানাতে হবে। অনলাইন এবং ক্যাশ অন ডেলিভারি দু’ভাবেই টাকা দেওয়া যাবে।