বাংলা হান্ট ডেস্কঃ তৃণমূলের পঞ্চায়েত উপপ্রধানের শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠলো তৃণমূল কর্মীদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে কাঁকসা থানার অন্তর্গত গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বামুনরা এলাকায়। ঘটনার পর তৃণমূল কর্মীদের বিরুদ্ধে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন তৃণমূলের উপ প্রধান শম্পা পাল। ঘটনার জেরে রীতিমত উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়।
অভিযুক্তদের দাবি ছিল যে, রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্যসাথী কার্ড পঞ্চায়েত অফিসের বদলে তৃণমূলের দলীয় কার্যালয় থেকে দিতে হবে। আর দলীয় কর্মীদের দাবি না মানায় গোপালপূর্ব গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান শম্পা পালের বাড়িতে তাণ্ডব চালায় তৃণমূলের কর্মীরা। এমনকি শম্পা পালের শ্লীলতাহানি করারও চেষ্টা করে তাঁরা। ঘটনার পর নির্যাতিতা উপ প্রধান শম্পা পাল পুলিশের কাছে যান নালিশ জানাতে।
শম্পা পাল জানান, ‘এলাকায় স্বাস্থ্যসাথীর কার্ডের জন্য ছবি তোলার কাজ শুরু হয়েছে। পঞ্চায়েতের প্রধানের নির্দেশ অনুযায়ী ছবি তোলার জন্য কুপনও বিলি করার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে পঞ্চায়েত অফিস থেকে।” শম্পা পাল জানান, ‘যারা বিভিন্ন কাজে আটকে থাকায় পঞ্চায়েত অফিসে যেতে পারেন নি, তাঁদের জন্য আমি নিজে বাড়ি থেকে কুপন বিলি করেছি।”
শম্পা পাল জানান, ‘এরপর দলের কর্মী সজল রায়, বাপ্পা গোস্বামী এবং আরও কয়েকজন আমার কাছে এসে দাবি করেন যে তৃণমূলের কার্যালয় থেকে কুপন বিলি করতে হবে। আমি তাঁদের বলে দিই যে সরকারি কাজ দলীয় কার্যালয় থেকে করা উচিৎ নয়।” শম্পাদেবী জানান, ‘এরপরই তাঁরা দলবল বিয়ে এসে আমার বাড়িতে চড়াও হয়। আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে, এমনকি আমার শ্লীলতাহানিও করে তাঁরা।” শম্পাদেবী জানান, ‘শুধু আমার বাড়িতেই নয়, বামুনারা অঞ্চলের প্রাক্তন অঞ্চল সভাপতি বিকাশ রায়ের বাড়িতেও গিয়ে উৎপাত ওড়ে তাঁরা। বিকাশ রায়কে বাড়িতে ঢুকে হুমকি দিয়ে আসে।”
ঘটনার পর কাঁকসা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন শম্পা পাল। এমনকি থানায় তিনি নিজের জন্য নিরাপত্তাও চেয়েছেন বলে খবর। এই ঘটনার পর কাঁকসা ব্লকের তৃণমূল সভাপতি দেবদাস বক্সি বলেন, ঘটনার খবর পেয়েছি, পুলিশ তদন্ত করছে। অভিযুক্তদের উপযুক্ত শাস্তি দেবে পুলিশ।
আরেকদিকে, এই ঘটনার পর প্রতিক্রিয়া এসেছে বিজেপিরও। পশ্চিম বর্ধমানের বিজেপি জেলা সভাপতি লক্ষ্মণ ঘড়ুই বলেন, ‘আমরা প্রথম থেকেই রাজ্যে নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে সরব হয়েছি। আর আজ আমাদের কথা আবারও প্রমাণিত হল।” তিনি বলেন, যেই দলের কর্মীরা নিজেদের নেত্রীর সন্মান রাখতে পারে না, তাঁরা রাজ্যের অন্য মহিলাদের কীভাবে সন্মান দেবে?