বাংলা হান্ট ডেস্ক : পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayat Election) আগেই চলছে অনেক ভাঙাগড়ার খেলা। মনোনয়ন জমা দেওয়ার পর ফের প্রার্থী পদ যাতে প্রত্যাহার করা না হয় তা নিয়ে আদা-জল খেয়ে লেগেছে বিরোধীরা। এবার ২০১৮ সালের সঙ্গে ২০২৩ সালের জেলা পরিষদের আসনে ঠিক কতগুলি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছে তার পরিসংখ্যান পাওয়া গেল।
দেখা যাচ্ছে, ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত ভোটে ২৫ শতাংশ জেলা পরিষদের আসন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় মিলেছিল। ওই আসনগুলিতেই ভোটই হয়নি। আর এবার দেখা যাচ্ছে সেই সংখ্যা নেমে দাঁড়িয়েছে মাত্র ১ শতাংশে।
জেলা পরিষদের মোট আসন ৯২৮টি। তার মধ্যে ১০টি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় পেয়েছে তৃণমূল। অর্থাৎ শতকরা হিসাবে মাত্র ১ শতাংশ আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় পেয়েছে তৃণমূল। ৯২৮টি আসনেই মনোনয়ন জমা দিয়েছে তৃণমূল। ৮৯৬টি ক্ষেত্রে মনোনয়ন জমা দিয়েছে বিজেপি। অর্থাৎ শতকরা হিসাবে ৯৭ শতাংশ। বামফ্রন্ট জমা দিয়েছে ৮৮৬টি আসনে। অর্থাৎ ৯৬ শতাংশ। কংগ্রেস জমা দিয়েছে ৬৫৭টি আসনে। শতকরা হিসাবে ৭১ শতাংশ।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, এই পরিসংখ্যান অনুসারে জানা গিয়েছে,উত্তরবঙ্গের জেলাগুলি যেখানে বরাবরই বিজেপির শক্ত ঘাঁটি সেখানে বিজেপি অধিকাংশ আসনেই মনোনয়ন জমা দিয়েছে। সেখানে একটি আসনেও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় পায়নি শাসকদল। এর জেরে কিছুটা হলেও পরোক্ষে মান রক্ষা হয়েছে শাসকদলের।
এবার ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত ভোটের পরিস্থিতির দিকে একটু ফিরে দেখা যাক। সেবার পঞ্চায়েত পর্বে ভয়াবহ হিংসা দেখেছিল বাংলা। মনোনয়ন কেন্দ্রের ধারে কাছে যেতে পারেনি বিরোধীরা। মেরে ফাটিয়ে দিয়েছিল শাসকদল। একের পর এক আসন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় পেয়েছিল ঘাসফুল।
ভাঙড় থেকে ক্যানিং একের পর এক হিংসার ঘটনা। তবে সেই হিংসার প্রতিরোধে ময়দানে নামে বিরোধীরা। ভাঙড়ে দেখা যায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে সমানে সমানে টক্কর দিচ্ছে আইএসএফ। কোচবিহারেও তৃণমূলকে পালটা দিচ্ছে বিজেপি। রুখে দাঁড়াচ্ছে বামেরা। এসবের জেরে কিছুটা হলেও ঘুরে দাঁড়াচ্ছে বিরোধীরা।