বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রাত পোহালেই পঞ্চায়েত ভোট (Panchayat Vote)। সেই নিয়েই সরগরম রাজ্য-রাজনীতি। তবে খাঁ খাঁ করছে কেবল একটি মাত্র জায়গা। ঠিকই ভাবছেন! প্রতিবছর ভোট এলেই কড়া নিরাপত্তায় মোড়া থাকত বীরভূমের (Birbhum) বোলপুর নিচুপট্টির মণ্ডল বাড়ি। তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) বাড়ি। একসময় বিরোধীরা বলতেন সেই বাড়িতে বসেই নাকি গোটা জেলার ভোট নিয়ন্ত্রণ করতেন কেষ্ট। তবে এবারের চিত্রটা যে একেবারেই ভিন্ন।
গত বছর অগাস্ট মাসে গরু পাচার মামলায় সিবিআই এর হাতে গ্রেফতার হন অনুব্রত মণ্ডল। বর্তমানে বাংলা পেরিয়ে তার ঠিকানা হয়েছে দিল্লির তিহাড়। ভোটে বীরভূম তো দূর, গোটা রাজ্যের সীমানার বাইরে তিনি। তাই এবারে পঞ্চায়েত ভোটের আগের দিনও কোনও রকম কোনও ব্যস্ততা নেই নিচুপট্টির সেই বাড়িতে। নাই আছে কোনও নেতা-কর্মীর আনাগোনা।
বাড়ির সামনে টাঙানো তৃণমূলের পতাকার রঙটাও তাপে, বৃষ্টিতে ঝলসে গিয়েছে। নেই ‘চড়াম চড়াম’, ‘গুড় বাতাসা’। প্রতিবছর গোটা রাজ্যের নজর থাকত এই বীরভূমের ফলাফলের ওপর। বিরোধীরা বলতো বোলপুর নিচুপট্টির কেষ্টর বাড়ি থেকেই গোটা জেলার উপর নজর রাখতেন তৃণমূলের ‘প্ৰিয়’ কেষ্ট। তবে আজ সেই বাড়ি লোকশুন্য, এক কথায় প্রাণহীন।
নিচুপট্টি তো বটেই, অনেকে বলছেন শুধুমাত্র এই একটি মানুষের অনুপস্থিতিতে আমূল পাল্টে গিয়েছেন গোটা জেলার চিত্র। যদিও কেষ্ট ঘনিষ্টদের দাবি, যেভাবে নিজ হাতে অনুব্রত জেলার সংগঠনকে গড়ে তুলেছিলেন, সেই ধারতেই এবার ভোট হবে কেষ্ট গড় বীরভূমে।
প্ৰতি বছর ভোট বিরোধীদের বহু অভিযোগ থাকে এই অনুব্রত মণ্ডলকে ঘিরে। তবে এবার যে তিনিই উপস্থিত নেই। আগামী বছর পঞ্চায়েতে তিনি বীরভূমে থাকবেন কিনা সেকথাও সকলের অজানা। অন্যদিকে, ২৩ পঞ্চায়েত ভোটে অনুব্রতর অনুপস্থিতি বিরোধীদের জন্য বড় স্বস্তির কারণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ। এবার কেষ্ট না থাকায় বিরোধীরা ভোট বাক্সে আদৌ কোনও প্রভাব ফেলতে পারে কিনা সেটাই দেখার।