পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামীর অ্যাকাউন্টে ঢুকছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার! বিস্ফোরক অভিযোগ তৃণমূলের

Published On:

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বাংলার মহিলাদের জন্য লক্ষ্মীর ভাণ্ডার (Lakshmir Bhandar) চালু করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পর এই প্রকল্প (Government Scheme) চালু হয়েছিল। এবার অভিযোগ, রাজ্যের এক পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী নিয়মিত ভাবে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের সুবিধা নিচ্ছেন। তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকদের অভিযোগ, বিগত প্রায় ৪০ মাস ধরে রাজ্য সরকারের (Government of West Bengal) এই স্কিমের টাকা পাচ্ছেন ওই ব্যক্তি।

কোন পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামীর বিরুদ্ধে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার (Lakshmir Bhandar) নেওয়ার অভিযোগ?

নদিয়ার তেহট্ট এক ব্লকের কানাইনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান হলেন টগরী ঘোষ। তাঁর স্বামী নীলোৎপল ঘোষের বিরুদ্ধেই লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বাম-কংগ্রেস পরিচালিত পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এনেছে তৃণমূল।

জানা যাচ্ছে, বৃহস্পতিবার একটি প্রশাসনিক বৈঠক ডেকেছিলেন টগরী। তবে সেই সভা শুরুর আগেই পঞ্চায়েত অফিসের সামনে ভিড় করতে শুরু করেন তৃণমূলের (Trinamool Congress) কর্মী, সমর্থকরা। অভিযোগ করেন, প্রধান টগরীর স্বামী বিগত তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা পাচ্ছেন। পোর্টালে দেখা গিয়েছে, সরকারি সুবিধাভোগীদের তালিকায় জ্বলজ্বল করছে তাঁর নাম।

আরও পড়ুনঃ আমরণ অনশনের মধ্যেই বড় পদক্ষেপ! রাজ্যের ওপর চাপ বাড়াতে নয়া কৌশল চাকরিহারা শিক্ষকদের

রাজ্যের শাসকদলের অভিযোগ, ওই পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে দরপত্র প্রক্রিয়ায় অনিয়ম ও অবৈধভাবে লক্ষাধিক টাকা দেওয়ার অভিযোগ আছে। এই প্রসঙ্গে তেহট্ট এক ব্লকের বিডিও থানায় লিখিত অভিযোগ জানানো হয়। তবে জামিন নিয়ে ফের কাজ শুরু করেন টগরী।

তৃণমূলের (TMC) প্রশ্ন, যে ব্যক্তির নাম দুর্নীতি মামলায় জড়িয়েছে, তিনি কীভাবে ফের প্রশাসনিক কাজ করছেন? তাদের অভিযোগ, একজন প্রধান, যার বিরুদ্ধে আগেই সরকারি টাকা কেলেঙ্কারির অভিযোগ উঠেছিল, তিনি নিজের স্বামীকে সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পাইয়ে দিচ্ছেন। এদিকে এলাকায় উন্নয়ন আটকে আছে।

Lakshmir Bhandar

পঞ্চায়েত প্রধান টগরী যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁর দাবি, রাজনৈতিকভাবে তাঁকে বদনাম করার জন্য এমনটা করা হচ্ছে। আইনি পথে এর মোকাবিলা করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

অন্যদিকে তৃণমূল সূত্রে খবর, এই নিয়ে রাজ্য নেতৃত্বকে জানানো হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও সংশ্লিষ্ট সরকারি দফতরে লিখিত অভিযোগ পাঠানো হচ্ছে।

উল্লেখ্য, একুশের বিধানসভা ভোটে জয়ী হওয়ার পর লক্ষ্মীর ভাণ্ডার (Lakshmir Bhandar) চালু করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। বর্তমানে এই প্রকল্পের অধীন সাধারণ শ্রেণির মহিলাদের মাসিক ১০০০ টাকা ও তফশিলি জাতি ও উপজাতি শ্রেণির মহিলাদের মাসিক ১২০০ টাকা করে দেওয়া হয়।

Sneha Paul

স্নেহা পাল, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পড়াকালীন সাংবাদিকতা শুরু। বিগত ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত। রাজনীতি থেকে বিনোদন, ভাইরাল থেকে ভ্রমণ, সব ধরণের লেখাতেই সমান সাবলীল।