‘অন্তত ২০ হাজার আসন জেতা উচিত ছিল’, পঞ্চায়েতে খারাপ ফলের জন্য দলকেই দুষলেন দিলীপ

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সংবাদের শিরোনামে সর্বদাই তিনি বিরাজমান। নিজের কড়া ‘ঠোঁটকাটা’ মন্তব্যের জন্য রাজ্য রাজনীতিতে সব থেকে বেশি আলোচনা হয় যেই ব্যক্তিকে ঘিরে তিনি দিলীপ ঘোষ (BJP MP Dilip Ghosh) । বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি। বিরোধীরা তো বটেই এমনকি সাংসদ দিলীপের নিশানায় কখনও কখনও থাকে নিজেরই দলের নেতারা। এবারেও ঠিক তেমনটাই হল।

রবিবার সল্টলেকের বিজেপি দফতরে হয় বঙ্গ বিজেপির হাইভোল্টেজ পর্যালোচনা বৈঠক। রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Vote) হিংসা, বিজেপির ফলাফল নিয়ে গতকাল বৈঠকে বসে গেরুয়া শিবির। উপস্থিত ছিলেন, সুকান্ত মজুমদার, রাজ্যে নিযুক্ত বিজেপির ভারপ্রাপ্ত পর্যবেক্ষক সুনীল বনসল, আশা লাকরা, অমিত মালব্য, মঙ্গল পান্ডে, দিলীপ ঘোষ প্রমুখ। যদিও ছিলেন না বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

সূত্রের খবর সেই বৈঠকে বারংবার দিলীপের মুখে উঠে আসে সংগঠন নিয়ে আত্মসমালোচনা। ভোটের ফল নিয়ে সরব হন ঘোষবাবু। জঙ্গলমহল ও উত্তরবঙ্গ যেই দুই জায়গায় গেরুয়া শিবিরের পাল্লা অপেক্ষাকৃত ভারী সেখানেও মুখ থুবড়ে পড়েছে বিজেপি। দলের এই আশাহত ফল দেখে দিলীপের পর্যবেক্ষণ, দলের সৈনিকদের মধ্যে লড়াই করার মানসিকতার অভাব রয়েছে। তারা অল্পেই বুথ ছাড়ছে। কে এদের সাহস দেবে? প্রশ্ন দিলীপের।

এই পরিপ্রেক্ষিতে দলের ওপর অঙ্গুল তুলে দিলীপের প্রশ্ন, সংগঠন কি কর্মীদের পাশে দাঁড়াতে পারছে না। কোনওভাবে কর্মীদের মনে নিরাপত্তাহীনতা কাজ করছে? জানা যায় দিলীপ বলেন, রাজ্যের বেশিরভাগ জায়গায় নির্বিঘ্নে ভোট হয়েছে। সেসবের ভিত্তিতে দলের অন্তত ২০ হাজার আসন জেতা উচিত ছিল।

dilip ghosh

অন্যদিকে, জানা গিয়েছে এদিনও দিলীপের মুখে কেন্দ্রীয় এজেন্সির সমালোচনা উঠে আসে। দিলীপ বলেন, ইডি-সিবিআই লোকজনকে ডেকে চা খাইয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দিচ্ছে। যার ফলে কর্মীদের মধ্যে খারাপ বার্তা যাচ্ছে। যদিও সূত্রের খবর, এই বিষয়ে তার সঙ্গে সহমত পোষণ করেননি সুকান্ত মজুমদার।
জানা গিয়েছে, পঞ্চায়েত ভোটে বিজয়ী প্রার্থীদের আরও উজ্জীবিত করতে তাদের সংবর্ধনা দেওয়ার সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে বৈঠকে।


Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর