বাংলা হান্ট ডেস্কঃ প্রায় একবছর হতে চলল গরু পাচার মামলায় (Cow Smuggling Case) জেলবন্দি বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। বাংলার সীমানা ছাড়িয়ে বর্তমানে তার ঠিকানা দিল্লির তিহাড় (Tihar)। প্ৰতি বছর পঞ্চায়েত ভোটের আগে বীরভূমে কেষ্টর মহিমা থাকে সর্বাধিক। তবে এবার ময়দানে না থাকলেও বীরভূমের কোনায় কোনায় রয়েছেন তিনি। কিন্তু কিভাবে?
আসলে কেষ্ট গড়ে পঞ্চায়েতে প্রচারের সংয়ের গানে উঠে এল অনুব্রত মণ্ডলের জেলজীবনের কথা। একেবারে দাপুটে নেতা থেকে তিহাড়ে কীভাবে মশার কামড় খেয়ে বেঁচে আছেন অনুব্রত! পাশাপাশি গুড়, বাতাসা, নকুলদানা ভোটের বাজারে কোথায় গেল? খাবে কী ভোটাররা? ভোটের প্রচার থেকে শুরু করে জেলজীবনের কথা, তা-ই হাস্যরসে ভরা গানের মাধ্যমে পরিবেশন করে সংয়ের দল। নানুরের দাসকল গ্রামের এটাই রীতি।
সংয়ের দলের এই পুরো গানই অবশ্য কটাক্ষে ভরা। মাথায় জটা, শাড়ি, গলায় মালা, মাথায় নকল চুল জড়িয়ে কীর্ণাহারের দাসকল গ্রামে সং সেজে অনুব্রতকে নিয়ে হাস্যরসের গান গেয়ে গোটা গ্রামময় ঘুরে বেড়ালেন নামকরা আলকাপ, পঞ্চরসের দল।
তারা সকলে গাইছেন, গানের তালে তালে নাচছেন আর তার দোহারের দল পোঁ ধরছে! যেই গান শুনে বাচ্চা থেকে বুড়ো রীতিমতো লুটোপুটি খাচ্ছে। সেই গ্রামের মানুষদের রাজনৈতিক ভাবে সচেতন করে তুলতে এখনও সং গানই অন্যতম প্রধান মাধ্যম। যদিও এই সং গান উদ্দেশ্যহীন, একেবারেই অরাজনৈতিক। এই গ্রামে তিনদিনের অহরাত্র সংকীর্তন শেষে ধুলোটের শোভাযাত্রায় সংয়ের দল গ্রাম ঘুরতে বের হয়। এবারে তাদের গানেই উঠে এল ‘বীরভূমের বাঘ’ অনুব্রতর জেলকাহানি। অভিনব এই গানে উঠে এসেছে দুয়ারে দুর্নীতির কথাও।
তবে গান পরিবেশনকারী গ্রামের বাসিন্দা বাপী কর্মকার, গৌতম মণ্ডল,পরেশ চট্টরাজ, ধ্রুপদ বন্দ্যোপাধ্যায়, লালু মাঝি প্রমুখ এদের সকলেরই কথা, এই গান হাস্যরস কেবল। এর মাধ্যমে অনুব্রত বা কোনও দলকে ছোট দেখানোর কোনও উদ্দেশ্য তাদের ছিল না।