বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ২০২৩ পঞ্চায়েত নিবার্চন (Panchayat Vote) নিয়ে মুখ পুড়েছে রাজ্য ও রাজ্য নির্বাচন কমিশনের (State Election Commission)। একের পর এক প্রানহানি, মৃত্যু, অশান্তি হিংসার মধ্য দিয়ে সমাপ্ত হয়েছে গ্রাম বাংলার ভোট। যা নিয়ে হাইকোর্টের প্রশ্নবাণের মুখেও পড়তে হয়েছে। যেখানে বিরোধীদের দাবি, রাজ্যের বহু বুথে অনিয়মের কারণে পুনর্নির্বাচনের দরকার ছিল, সেখানে ১০ তারিখ গোটা রাজ্যের মাত্র ৬৯৬ বুথে পুনর্নির্বাচন হয়।
গেরুয়া শিবিরের (BJP) দাবি, অশান্তির ঘটনায় রাজ্যজুড়ে ৬ হাজার বুথে পুনর্নির্বাচনের দাবি জানানো হয়েছিল। এবার এই নিয়েই বড় পদক্ষেপ করল কমিশন। সেই সমস্ত বুথের তালিকা খতিয়ে দেখে জেলাশাসকদের কাছে রিপোর্ট তলব করল কমিশন। প্রসঙ্গত, গত ৯ জুলাই বিজেপির তরফে ইমেল করে প্রায় ৬ হাজার বুথের পুনর্নির্বাচনের দাবিতে একটি তালিকা দেওয়া হয়।
এবার সেই তালিকাই পাঠানো হল জেলাশাসকদের কাছে। এই বিপুল সংখ্যক বুথের মধ্যে কোন কোন বুথে স্ক্রুটিনি করা হয়েছে, স্ক্রুটিনির পর পুনর্নির্বাচনের জন্য কতগুলো বুথের তালিকা পাঠানো হয়েছে, সেই সমস্ত তথ্য শীঘ্র পাঠানোর জন্য জেলাশাসকদের নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। বিজেপি ছাড়াও অন্যান্য জায়গা থেকে ভোট সংক্রান্ত বেশ কিছু হিংসার অভিযোগ জমা পড়েছে রাজীব সিনহার কমিশনে। সেই অভিযোগও জেলাশাসকদের কাছে পাঠানো হয়েছিল। এবার তা খতিয়ে দেখে আলাদা একটি রিপোর্ট চেয়ে পাঠালো কমিশন।
জানা গিয়েছে জেলাশাসকদের থেকে রিপোর্ট পাওয়ার পরেই তা নিয়ে বসবে রাজ্য নির্বাচন কমিশন (State Election Commission)। নেওয়া হবে সিদ্ধান্ত। আগামী সোমবার হাইকোর্টে পঞ্চায়েত নির্বাচন মামলার শুনানির আগেই বড় নির্দেশ দিল কমিশন।
প্রসঙ্গত, সেই পঞ্চায়েত মামলার দিনক্ষণ ঘোষণা হওয়ার সময় থেকেই উত্তপ্ত রাজ্য-রাজনীতি। মনোনয়ন পর্ব থেকে শুরু করে ভোটের দিন, রণক্ষেত্রের চিত্র নেয় রাজ্যের একাধিক জায়গা। পঞ্চায়েত ভোটকে ঘিরে চলে গিয়েছে ৫০টি তরতাজা প্রাণ। নিত্যদিন উঠে আসছে অশান্তির চিত্র। যা নিয়ে যথেষ্ট উদ্বেগ প্রকাশ করেছে কলকাতা হাইকোর্ট।