বাংলাহান্ট ডেস্কঃ জেলা পুলিশের জালে ব্রাউন সুগার পাচারচক্রের মূল পান্ডা। বিপুল পরিমাণে ব্রাউন সুগার ও নগদ টাকা সহ দলের পান্ডা-সহ মোট তিনজনকে গ্রেফতার করল কালিয়াচক থানার পুলিশ। সূত্রের খবরের ভিত্তিতে রবিবার রাতে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের বালিয়াডাঙা (Baliadanga)এলাকায় ফাঁদ পেতেছিল পুলিশ। একটি চার চাকা দামি গাড়িতে করে মাদক পাচারের সময় ধরা পড়ে যায় ওই দুষ্কৃতীরা। সোমবার ধৃতদের মালদহ (Malda) জেলা আদালতে পেশ করে কালিয়াচক থানার পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ধৃতদের নাম রজ্জাক শেখ (Razzak Shek )(৪৯), মোহাম্মদ সাহিম শেখ( Mohammad Sahim Shek) (২৩) ও সামাউল শেখ(Samiul Shek)(৩২)। প্রথম দু’জনের বাড়ি কালিয়াচক থানার শেরশাহী গ্রামে। সামাউল দক্ষিণ রায়পুর গ্রামের বাসিন্দা। ধৃতদের কাছ থেকে ৪০০ গ্রাম ব্রাউন সুগার, ৯ লক্ষ টাকা উদ্ধার করেছে পুলিশ।
লকডাউনের মধ্যেই গত কয়েক দিনে মাদক পাচার করতে গিয়ে পুলিশের হাতে ধরা পরে বেশ কয়েকজন মাদকের কারবারি। গত শুক্রবার ব্রাউন সুগার ও ইয়াবা ট্যাবলেট সহ তিন পাচারকারীকে গ্রেফতার করে কালিয়াচক থানার পুলিশ। একটি মোটরবাইকে করে মাদক পাচারের সময় ধুলোয়ারি এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় তাদের।
তার আগে গত ২৩ এপ্রিল জাতীয় সড়ক দিয়ে ব্রাউন সুগার পাচারের পথে দুই পাচারকারীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া ৩ কেজি ৩৭ গ্রাম মাদকের আনুমানিক বাজার দর ছিল প্রায় সাড়ে তিন কোটি টাকা। কাটিহার থেকে লরিতে করে দুই পাচারকারী ব্রাউন সুগার নিয়ে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক দিয়ে কালিয়াচকের দিকে যাচ্ছিল। ধৃত মান্না শেখ ও সরিফ শেখ। মান্না শেখের বাড়ি বাবরবোনা গোলাপগঞ্জে। সরিফ শেখের বাড়ি শেরশাহী আলীপুর।
এরপরেই ব্রাউন সুগার পাচার চক্রের মূল পান্ডার খোঁজে তদন্তে নামে মালদহ জেলা পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে ধৃতদের জেরা করেই কিংপিনদের সন্ধান মেলে। রবিবার রাতে বালিয়াডাঙ্গা এলাকায় ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে ওই লাক্সারি গাড়িটি আটকায় কালিয়াচক থানার পুলিশ। তল্লাশিতে উদ্ধার হয় প্রচুর ব্রাউন সুগার ও টাকা। জেলার পুলিশ সুপার জানান, ধৃতদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, বিভিন্ন জায়গায় মাদক পাচার করেই ওই ন’লক্ষ টাকা পেয়েছে তারা। বাকি ব্রাউন সুগারও এক জায়গায় পৌঁছে দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু পুলিশের তৎপরতায় শেষরক্ষা হয়নি।