বাংলাহান্ট ডেস্ক: দেশ তথা বাঙালি জাতির গর্ব পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তী (Pandit Ajoy Chakraborty)। শাস্ত্রীয় সঙ্গীতে তাঁর জ্ঞান, পাণ্ডিত্য অপরিসীম। আন্তর্জাতিক মঞ্চে ভারতীয় সঙ্গীতকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন তিনি। এমন বড়মাপের একজন শিল্পীকে চূড়ান্ত হেনস্থার মুখে পড়তে হল বিদেশের মাটিতে। উপরন্তু সেখানকার বাঙালি সমাজে গিয়েই অপমানিত হলেন পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তী।
সম্প্রতি নর্থ আমেরিকার বেঙ্গলি কনফারেন্সে যোগ দিতে গিয়েছিলেন অজয় চক্রবর্তী এবং জয়তী চক্রবর্তী। সেখানে গিয়েই চরম অপমানের মুখে পড়লেন দুই সঙ্গীতশিল্পী। থাকার জায়গা, খাবারের সমস্যা ছাড়াও আয়োজকের বিরুদ্ধেও উঠেছে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ। দুই বর্ষীয়ান সঙ্গীতশিল্পীর অপমানের প্রতিবাদে ফুঁসছে বাংলার সঙ্গীত জগৎ।
জানা যাচ্ছে, বেঙ্গলি কনফারেন্সে গিয়ে কার্যত অসম্মান করা হয়েছে বাংলার দুই শিল্পীকে। হোটেলের ঠিকঠাক বুকিং ছিল না, খাবারের অব্যবস্থার পাশাপাশি অনুষ্ঠানে সঙ্গীত পরিবেশনের সময়ও নাকি কমিয়ে দেওয়া হয়েছিল। বাংলা থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে দুই প্রবীণ শিল্পীর এই অপমানে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন মনোময় ভট্টাচার্য, লোপামুদ্রা মিত্ররা।
শিল্পীদের অপমানে আপামর শিল্পী সমাজকে পথে নামার ডাক দিয়েছেন মনোময় ভট্টাচার্য। তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন শ্রাবণী সেন। লোপামুদ্রা প্রশ্ন ছুড়েছেন, এরপরেও কি বাংলার গায়ক, গায়িকা, ব্যান্ড নিজেদের সম্মান রক্ষার্থে একত্রিত হবে না? আর কতদিন অপমান সহ্য করবে শিল্পীরা?
সঙ্গীতশিল্পী বলেন, বাংলার শিল্পীরা নিজেরাই নিজেদের সম্মান করতে পারে না। শুধু বিদেশেই নয়, নিজের দেশ, এমনকি নিজের শহরে শিল্পীদের জায়গাটা কোথায় দাঁড়িয়েছে সেটাও ভেবে দেখার আর্জি জানিয়েছেন লোপামুদ্রা মিত্র।
রূপসা দাশগুপ্ত বলেন, কলকাতার অনুষ্ঠানের ব্যবস্থাপনার সঙ্গে আমেরিকার ব্যবস্থার কোনো তুলনা হয় না। উপরন্তু শিল্পীদের ইকোনমি ক্লাসে ট্রাভেল করার পাশাপাশি হোটেলের অব্যবস্থা, পারিশ্রমিকও কম দেওয়া হয় বলে অভিযোগ তুলেছেন তিনি।