বাংলা হান্ট ডেস্ক: বর্তমানে পাকিস্তানি (Pakistan) সেনাবাহিনীর আধিকারিকরা রীতিমতো আতঙ্কে রয়েছেন। প্রতিনিয়তই চরম বিপদের সম্মুখীন হতে হচ্ছে তাঁদের। যার ফলে একের পর এক সেনা আধিকারিক প্রাণ হারাচ্ছেন। ঠিক এই আবহে এই এবার একটি আপডেট সামনে এসেছে। এই প্রসঙ্গে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, সর্বশেষ এবার ৩ জন পাকিস্তানি সেনা আধিকারিককে অপহরণ করা হয়। যাঁদের মধ্যে একজন ভয়ের কারণে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন বলেও জানা গিয়েছে। অন্যদিকে বুধবার বালোচিস্তান প্রদেশে বিদ্রোহীদের সাথে গুলি বিনিময়ের সময়ে একজন মেজর নিহত হন।
পাকিস্তানি (Pakistan) সেনারা রয়েছেন আতঙ্কে:
জানা গিয়েছে, বুধবার খাইবার পাখতুনখোয়ার (Pakistan) ট্যাঙ্ক প্রদেশে ৩ জন অফিসার একটি গাড়িতে ছিলেন। সেই সময়ে বিদ্রোহীরা তাঁদের ঘিরে ফেলে। আধিকারিকদের মধ্যে জেলা অ্যাকাউন্ট অফিসার নাভিদ জাফর খান এবং আরও ২ জন ছিলেন। বিদ্রোহীরা যখন তাঁদের অপহরণ করে অন্যত্র নিয়ে যেতে শুরু করে তখন আতঙ্কিত হয়ে জাফর হৃদরোগে আক্রান্ত হন এবং মারা যান। বাকি দুই নিরাপত্তা আধিকারিককে পরে নিরাপদে উদ্ধার করা হয়। সূত্র জানিয়েছে, বিদ্রোহীরা তাঁদের ফোন ছিনিয়ে নেয়।
এর একদিন আগে, বিদ্রোহীদের সাথে সংঘর্ষে পাকিস্তান (Pakistan) সেনাবাহিনীর একজন মেজর মইজ আব্বাস শাহ নিহত হন। মেজর মইজ আব্বাস হলেন সেই পাকিস্তানি সেনা আধিকারিক যিনি ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে বালাকোট অপারেশনের সময় উইং কমান্ডার অভিনন্দন বর্তমানকে “বন্দি” করেছিলেন। অভিনন্দনের যুদ্ধবিমান নিয়ন্ত্রণ রেখা পেরিয়ে বিধ্বস্ত হয়েছিল এবং তিনি প্যারাসুট ব্যবহার করে নেমে এসেছিলেন। কিন্তু তিনি সীমান্ত অতিক্রম করে ফেলায় পাকিস্তানের হাতে “বন্দি” হন।
আরও পড়ুন: সঙ্গদোষেই ঘটে সর্বনাশ! দুঃসময়ে পাশে ছিলেন এই তারকা খেলোয়াড়, রাখঢাক না রেখে সবটা জানালেন পৃথ্বী
এদিকে, ওয়াজিরিস্তান প্রদেশে TTP-র সাথে এক সংঘর্ষে মইজ আব্বাস প্রাণ হারান। এদিকে, সন্ত্রাসবাদীরা সারগোধা খুররম এলাকায় পাকিস্তানি (Pakistan) সেনাদের ওপর গেরিলা আক্রমণ চালিয়েছিল। যার ফলে দুই পাকিস্তানি সেনা আধিকারিক নিহত হন।
আরও পড়ুন: শুধু পোশাকের দামই কয়েক কোটি! শুভাংশু শুক্লার মহাকাশ সফরে কত খরচ করল ভারত?
এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, শুধুমাত্র জুন মাসেই বালোচিস্তান প্রদেশে পাকিস্তান (Pakistan) সেনাবাহিনীর বিপুল সেনা প্রাণ হারিয়েছেন। বালোচ লিবারেশন আর্মির গেরিলা অভিযানের কারণে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী আতঙ্কে রয়েছে। এমনকি, পাকিস্তানি সেনাবাহিনী সীমান্তবর্তী এলাকার অনেক জায়গায় যেতে দ্বিধা বোধ করে। বালোচ লিবারেশন আর্মি পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে তাদের কর্মীদের অপহরণ, হত্যা এবং নির্যাতনের অভিযোগ এনেছে। এমতাবস্থায়, তারা পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর কাছ থেকে এই ধরণের নৃশংসতার প্রতিশোধ নিচ্ছে। পরিস্থিতি এতটাই জটিল হয়েছে যে, পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনিরকে আমেরিকাতেও পাকিস্তানি নাগরিকরদের কাছে সমালোচিত হতে হয়েছে।
Made in India