বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ১১ দিন পার। এখনও আর জি করের (RG Kar) তরুণী চিকিৎসকের মৃত্যুর কিনারা হল না। আদালতের নির্দেশে হাসপাতালে কর্মরত তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনার (Doctor Rape and Murder Case) তদন্ত করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। এরই মাঝে নির্যাতিতা চিকিৎসকের দেহ সৎকার নিয়ে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ সামনে আনল পানিহাটি শ্মশান কর্তৃপক্ষ।
বিস্ফোরক পানিহাটি শ্মশান ম্যানেজার (RG Kar)
কেন তড়িঘড়ি সৎকার করা হল নির্যাতিতার দেহ? বারংবার এই প্রশ্ন উঠছে। একই প্রশ্ন তুলেছে তিলোত্তমার পরিবারও। এবার এই ইস্যুতেই মুখ খুললেন পানিহাটি শ্মশানঘাটের ম্যানেজারের। সংবাদমাধ্যমের সামনে নিজের মুখেই গোটা স্বীকার করে নিয়ে ম্যানেজারের দাবি, তড়িঘড়ি দাহ করে দেওয়া হয়েছিল নির্যাতিতার দেহ।
এখানেই শেষ নয়, বিস্ফোরক দাবি করে তিনি আরও বলেন,’পুলিশ আগেই এসে বলে গিয়েছিল যে নির্যাতিতার দেহ আগে দাহ করার ব্যবস্থা করতে হবে। সেইসময় শ্মশানে আরও দুটি মৃতদেহ সত্কারের লাইনে থাকলেও পুলিশের নির্দেশ মেনে তড়িঘড়ি পুড়িয়ে ফেলা হয় নির্যাতিতার দেহ। ভিড় এড়াবার যুক্তি দিয়ে পুলিশ আর জি করের নির্যাতিতার দেহ আগে পুড়িয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেয় বলে জানা যায়।
গোটা এই বিষয়ে লালবাজার জানিয়েছে, সেদিন নির্যাতিতার পরিবারের দাবি মেনে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতি সহ অন্য হাসপাতালের মহিলা ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক আনার পাশাপাশি শববাহী গাড়ি এসকর্ট করে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থাও করেছিল পুলিশ। পরিবার দেহ সংরক্ষণের দাবি জানায় নি। যদি চাওয়া হত তাহলে সেই ব্যবস্থাও করা হত। পরিবারের কনসেন্ট ছাড়া পুলিশ দেহ সৎকার করতে পারেনা। মৃতার দেহ দাহ করার ক্ষেত্রেও কোনোরকম তাড়াহুড়ো করা হয়নি।
আরও পড়ুন: ‘ভেঙে গুড়িয়ে দিন..,’ হাইকোর্টের নির্দেশে অবশেষে অ্যাকশনে পুরসভা, ভাঙা হল বহুতল
যদিও পুলিশের দাবি মানতে নারাজ বিরোধী শিবির। নির্যাতিতার দেহ দ্রুততার সঙ্গে পোড়ানোর জন্য আগে থেকেই শ্মশানঘাটে একাধিক তৃণমূল নেতা দাঁড়িয়েছিলেন বলে অভিযোগ তোলা হয় সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীর তরফে।