বাংলাহান্ট ডেস্ক: বইয়ের থেকে আপন বন্ধু বোধহয় আর কেউ হয় না। তবে ডিজিটাল যুগে শিশুরা ক্রমশ মুখ ফেরাচ্ছে বইয়ের থেকে। আজকাল স্কুল-কলেজের বইয়ের বাইরে কতজন অন্যান্য বই পড়েন তা নিয়ে রয়েছে বড় প্রশ্নচিহ্ন। আজকাল টিনএজ শিশুদের সময় কাটছে সোশ্যাল মিডিয়া কিংবা মোবাইল গেমসে।
তবে ব্যতিক্রমও থাকে কিছু। সেই ব্যতিক্রমেরই সাক্ষী পশ্চিমবঙ্গের আলিপুরদুয়ারের পানিঝোড়া (Panijhora) গ্রাম। রাজ্যের প্রথম ‘বই গ্রাম’ বলা যেতে পারে পানিঝোড়াকে। এই গ্রামের চারদিকে চোখ রাখলেই পাবেন ভিন্ন স্বাদ। মনে হবে যেন চলে এসেছেন কোনও বইয়ের দেশে। সৎ প্রচেষ্টা আর উদ্যোগ থাকলে অনেক অসম্ভবকেই সম্ভব করা যায়।
বইগ্রাম পানিঝোড়া (Panijhora)
তেমনটাই করে দেখিয়েছে পানিঝোড়া (Panijhora)। বিনামূল্যে কমিউনিটি লাইব্রেরী (Free Community Library) থেকে শুরু করে বাড়ির দেওয়াল জুড়ে বইকে থিম করে সুদৃশ্য দেওয়াল চিত্র, পানিঝোড়া যেন বইপ্রেমীদের (Book Lover) স্বর্গরাজ্য। শিক্ষামূলক ভ্রমণের পাশাপাশি এই গ্রামে বেড়েছে পর্যটকদের সংখ্যা।
আদিবাসী অধ্যুষিত এই গ্রাম এখন শিক্ষা ক্ষেত্রে যেন নতুন দিগন্তের উন্মেষ ঘটিয়েছে। আদিবাসী সম্প্রদায়ের শিশুদের দেওয়া হচ্ছে জয়ফুল লার্নিং, আত্মরক্ষার প্রশিক্ষণ। এমনকি এই গ্রামের শিশুরা শিখছে হাতের কাজ, কম্পিউটার, স্পোকেন ইংলিশ। ইচ্ছাশক্তি ও শিক্ষার আলো থাকলে অনেক অসম্ভবকেই সম্ভব করা সম্ভব।
আরোও পড়ুন : চিকিৎসা পরিষেবায় চরম উদাসীনতা! হাতের ব্যাথায় পায়ের এক্স-রে লিখে বিপাকে ডাক্তারবাবু
সমাজে পিছিয়ে পড়া শিশুদের যেন নতুন আলোর দিশা দেখাচ্ছে আলিপুরদুয়ার জেলার পানিঝোড়া গ্রাম। এই গ্রামে যেন মিলেমিশে একাকার হয়ে গেছে বই আর মানুষ। বইয়ের সাথে নতুন সম্পর্ক তৈরি করে নতুন ভোরের দিকে এগিয়ে চলেছে, আদিবাসী সম্প্রদায় অধ্যুষিত পানিঝোড়া। গোটা গ্রাম এখন বিভোর দিন বদলের স্বপ্নে।