বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সব চেষ্টা বিফলে। কখনও না ফেরার দেশে রাজ্য পুলিশের প্রাক্তন আইজি পঙ্কজ দত্ত (Pankaj Dutta)। ২৩ অক্টোবর থেকে ভর্তি ছিলেন বারাণসীর হাসপাতালে। সেখানেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন প্রাক্তন পুলিশকর্তা। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৩ বছর।
২৩ অক্টোবর বারাণসীতে ফিলোজ়ফিক্যাল সোসাইটি অফ ইন্ডিয়ার সম্মেলনে বক্তব্য রাখছিলেন সংস্থার পশ্চিমবঙ্গ শাখার সভাপতি পঙ্কজ দত্ত। সেই সময়ই তিনি প্রচন্ড অসুস্থ হয়ে পড়েন। তার নাক – মুখ থেকে রক্তক্ষরণ শুরু হয়। সেরিব্রাল অ্যাটাক হয় পঙ্কজ দত্তর। সংজ্ঞাহীন অবস্থায় দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। ভর্তি ছিলেন ক্রিটিকাল কেয়ার ইউনিটে। টানা একমাসেরও বেশি সময়ের লড়াই। তাতে হেরে গেল আপোষহীন এই কণ্ঠ।
সম্প্রতি আরজি কাণ্ডের প্রতিবাদে বক্তব্য রাখতে গিয়ে ‘সোনাগাছি’ নিয়ে ‘বেফাঁস’ মন্তব্য করে বসেছিলেন প্রাক্তন পুলিশকর্তা। যা নিয়ে প্রচুর অস্বস্তিতে পড়তে হয় বর্ষিয়ান এই প্রাক্তন আইপিএস-কে। পঙ্কজবাবুকে নোটিস পাঠায় কলকাতা পুলিশ। থানাতেও হাজিরা
দিতে হয় তাঁকে। রেকর্ড করা হয়েছিল জবানবন্দি।
এর কিছুদিনের মধ্যেই বারাণসীতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিঁনি। সেই সময় রাজ্য পুলিশের প্রাক্তন ইন্সপেক্টর জেনারেল পঙ্কজ দত্তর (Pankaj Dutta) অসুস্থতার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দায়ী করে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিস্ফোরক পোস্ট করেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি লিখেছিলেন, ‘পঙ্কজবাবুর এই অবস্থার জন্য যদি কেউ দায়ী হয়ে থাকেন তাহলে তিনি একমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।’
শুভেন্দুর কথায়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের সোচ্চার সমালোচক পঙ্কজ দত্ত। পুলিশি তদন্তের ফাঁক ফোকড় ও পুলিশি নির্যাতন ও পুলিশি বাড়াবাড়ির বিরুদ্ধেও সর্বদাই আওয়াজ তুলতেন তিনি। সেই সময় শুভেন্দুর বক্তব্যকে সমর্থন করেছে পঙ্কজবাবুর আইনজীবী বলেন, ‘সম্প্রতি একটি ভুল ও মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে পঙ্কজবাবুকে বড়তলা থানায় নিয়ে গিয়ে সারাদিন বসিয়ে রাখা হয়। টানা ৬ ঘণ্টা তাকে জল ও চা পর্যন্ত খেতে দেওয়া হয়নি। আমরা সেদিনই ভয় পেয়েছিলাম, এই প্রবীণ মানুষটির শরীর নিয়ে উদ্বেগ হয়েছিল যেন অসুস্থ না হয়ে পড়েন। সেইদিন থানায় তাকে যে পরিমাণ হেনস্থার শিকার হতে হয়েছে তাতে তিনি মানসিকভাবে অত্যন্ত ভেঙে পড়েছিলেন। স্থানীয়দের সামনে তাকে বিক্ষোভের মুখে ঠেলে দেওয়া হয়। বিভিন্ন পন্থায় অসম্মান করা হয় তাকে। ’