বাংলাহান্ট ডেস্ক : কালীপুজো (Kalipujo) আর শ্যামাসঙ্গীত একে অপরের পরিপূরক। আর শ্যামাসঙ্গীতের প্রসঙ্গ উঠলে যাঁর গান ছাড়া কালীপুজো অসম্পূর্ণ তিনি পান্নালাল ভট্টাচার্য। ‘মায়ের পায়ে জবা হয়ে’, ‘সকলি তোমারি ইচ্ছা’, ‘দোষ কারো নয় গো মা’, ‘আমার সাধ না মিটিল’র মতো গান আজো কালীপুজোর (Kalipujo) দিনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। তাঁর দাদা ধনঞ্জয় ভট্টাচার্য, শ্যামাসঙ্গীতের আরেক খ্যাতনামা ব্যক্তিত্ব। যে বাড়িতে এমন দুজন মানুষ রয়েছেন, কেমন হত সেই বাড়ির পুজো? রয়েছে কী কী অলৌকিক অভিজ্ঞতা? অজানা কাহিনি শোনালেন ভট্টাচার্য বাড়ির বউ কঙ্কনা ভট্টাচার্য।
পান্নালাল ভট্টাচার্যের বাড়ির কালীপুজো (Kalipujo)
তিনি ধনঞ্জয় ভট্টাচার্যের পুত্রবধূ। পান্নালাল ভট্টাচার্য ছিলেন তাঁর কাকাশ্বশুর। যদিও তাঁকে স্বচক্ষে দেখার সৌভাগ্য হয়নি তাঁর। তবে ‘বাবুজি’ বা শ্বশুরমশাইয়ের সঙ্গে ঘটতে দেখেছেন নানান অলৌকিক কাণ্ড। আনন্দবাজার অনলাইনের হয়ে কলম ধরে কঙ্কনা ভট্টাচার্য জানালেন, তাঁর খুড়শ্বশুরমশাই পান্নালাল ভট্টাচার্যের মাকে নিয়ে খুব অভিমান ছিল। তিনি যেমন ভাবে চাইতেন মা কেন তাঁর কাছে তেমন ভাবে ধরা দিতেন না? অথচ দাদা ধনঞ্জয় কিনা মায়ের দেখা পেয়ে গেলেন! কালীপুজোর (Kalipujo) দিন শ্মশানে শ্মশানে ঘুরতেন তিনি। যদি মা দেখা দেন। তবে কঙ্কনা লিখেছেন, মাকে নিজের মধ্যেই ধারণ করেছিলেন পান্নালাল। তা তিনি নিজেই বুঝতে পারেননি।
আরো পড়ুন : মুসলিম হয়েও ছুটে যান মন্দিরে, এবার বিজেপি নেতার পুত্রবধূ হতে চলেছেন সারা আলি খান! এ কী কাণ্ড ঘটালেন!
শ্বশুর ধনঞ্জয় ভট্টাচার্যের কথা জানালেন পুত্রবধূ
‘বাবুজি’ অর্থাৎ কঙ্কনা ভট্টাচার্যের শ্বশুরমশাই ধনঞ্জয় ভট্টাচার্যেরও দৈবিক অভিজ্ঞতা কম নেই। কালীপুজোর (Kalipujo) আগের দিন আমিষের ছোঁয়াও খেতেন না তিনি। এদিন বাড়ির পুজোর পর শ্রীরামপুরে গঙ্গার পাড়ে শ্মশানের কালীপুজোয় যেতেন ধনঞ্জয় ভট্টাচার্য। পরবর্তীতে সেখানে এক বাড়িতেও পুজোয় (Kalipujo) গান গাইতে যেতেন তিনি। সঙ্গে যেতেন শুধুমাত্র এক তবলচি। এখানেই একবার ঘটে যায় এক অলৌকিক ঘটনা। ওই বাড়িতে সেবার ধনঞ্জয় ভট্টাচার্যের নামগান রেকর্ড করা হয়েছিল। পরে যখন রেকর্ড চালানো হল, সকলে স্তব্ধ হয়ে শুনলেন, কে যেন তবলার তালে তালে গানের সঙ্গে ঘুঙুর পরে নাচছেন!
আরো পড়ুন : ‘শোলে’র থেকেও বেশি ব্যবসা, অমিতাভের চেয়ে অধিক হিট দিয়েও প্রাপ্য সম্মান পাননি এই ছবির নায়ক
বাড়ির পুজোয় ঘটে অলৌকিক ঘটনা
কঙ্কনা ভট্টাচার্য জানান, বাড়ির পুজোয় (Kalipujo) মাকে রাবড়ি ভোগ দেওয়া তাঁদের বিশেষ রীতি। অন্তত ১০০ গ্রাম হলেও রাবড়ি ভোগ দেওয়া হয়ই। এর নেপথ্যেও রয়েছে এক বিশেষ কারণ। একবার নাকি মাকে ভোগ নিবেদনের পর তাঁরা ঘর থেকে বেরিয়ে আসেন। পরে আবার সেই ঘরে প্রবেশ করতে দেখা যায়, ভোগের রাবড়ির ভাঁড় থেকে কে যেন রাবড়ি তুলে খেয়েছে! তাই মাকে প্রতিবার তাঁর প্রিয় রাবড়ি ভোগ দিতে ভোলেন না ভট্টাচার্য পরিবার।
এখন পান্নালাল ভট্টাচার্য, ধনঞ্জয় ভট্টাচার্য কেউই নেই ইহজগতে। দু বছর আগে স্বামী দীপঙ্কর ভট্টাচার্যকেও হারিয়েছেন কঙ্কনা ভট্টাচার্য। কিন্তু তাঁদের উপস্থিতি সবসময় তিনি অনুভব করেন বলে জানান কঙ্কনা ভট্টাচার্য। তাঁদের নির্দেশ মেনেই চলেন তিনি।