বাংলা হান্ট ডেস্ক : রাম নবমীতে শিক্ষা হয়েছে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগের দিনই আশংকা প্রকাশ করেছিলেন। তাঁর দাবি ছিল ৬ এপ্রিল হনুমান জয়ন্তীতেও (Hanuman Jayanti) বাংলায় বিক্ষিপ্ত অশান্তি ছড়ানোর চেষ্টা হতে পারে। এবার এই পরিস্থিতিতেই আজ বুধবার কলকাতা হাইকোর্ট (High Court) নির্দেশ দিল, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বজায় রাখতে হনুমান জয়ন্তীতে কেন্দ্রীয় আধা সামরিক বাহিনী (Central Paramilitary forces) মোতায়েন হবে বাংলায়।
তবে, হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি টিএস শিবঞ্জানমের নেতৃত্বে ডিভিশন বেঞ্চ জানান, কেন্দ্রীয় বাহিনী নামানোর মানে এই নয় যে রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। রাজ্য পুলিশকে সাহায্য করতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর নামানোর নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। বিধানসভা বা লোকসভা নির্বাচনেও কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়।
হাওড়ায় শিবপুরে গোষ্ঠী সংঘর্ষের ঘটনা নিয়ে রাম নবমীর পরদিনই কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি দাবি করেন, শিবপুর হিংসার তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হোক সিবিআইকে। রিষড়ার ঘটনার পর আরও একটি মামলা দায়ের হয় হাইকোর্টে। রাজ্য সরকার আদালতে জানায়, বাংলায় রাম নবমী ও হনুমান জয়ন্তী পালনের একটা নতুন ট্রেন্ড গত পাঁচ বছর ধরে দেখা যাচ্ছে। হনুমান জয়ন্তীতে ২ হাজার শোভাযাত্রা বের করার আবেদন জমা পড়েছে।
হনুমান জয়ন্তীতে রাজ্যে বিক্ষিপ্ত অশান্তি ছড়াতে পারে সেই তথ্যও রাজ্য সরকারের কাছে রয়েছে। শাসক দলের মতে তা চক্রান্ত করেই করা হতে পারে। রাজ্যের দাবি, এর পিছনে শুধু বাংলা বিজেপিই নয়, রয়েছে দিল্লিরও ইন্ধনও।
রাজ্যের বক্তব্য শোনার পর এদিন হাইকোর্ট জানায়, কোনও রাজনৈতিক ব্যক্তি, নেতা বা মন্ত্রী বা সাধারণ মানুষ জনসমক্ষে কোন উস্কানিমূলক মন্তব্য করতে পারবেন না।
এরই সঙ্গে আদালতের নির্দেশ, যারা হনুমান জয়ন্তীর মিছিল পালন করবে তাদের মুচলেকা দিয়ে বলতে হবে কোন অশান্তি হলে সেই সংগঠন বা মিছিলের আয়োজকরা দায়ী থাকবেন। মিছিলের রুট ঠিক করবে পুলিস। যে সব জায়গায় ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে সেখানে কোনো রকম মিছিল করা যাবে না। মিছিলে কতজন লোক থাকবে সেই অনুমতিও দেবে পুলিস। হনুমান জয়ন্তী পালনে যেহেতু সময় কম তাই শীঘ্রই আধা সামরিক বাহিনীর জন্য কেন্দ্রের কাছে রিকুইজিশন পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রাজ্যকে।