বাংলাহান্ট ডেস্কঃ ভারতের (India) বিরুদ্ধে থাকা কোন দেশই এখন ভালো পরিস্থিতিতে নেই। রুশের (Russian) ভয়ে গুটিয়ে রয়েছে তুর্কি (Turkey)। আবার অপরদিকে মালয়েশিয়াও (Malaysia) সমস্যায় আছে। এই পরিস্থিতিতে আর্থিক দিক থেকে পাকিস্তানও (Pakistan) খুব সংকটে রয়েছে। পাকিস্তান সংসদের তরফে বলা হয় পাকিস্তান এখন আর্থিক দিক থেকে খুবই দুর্বল।
২০১৮ সালের সমীক্ষা অনুযায়ী পাকিস্তানের ঋণ অনেকটাই বেশি ছিল। এই ঋণের পরিমাণ ২০১৯ সালে আরও বৃদ্ধি পায়। ইমরানের খানের (Imran Khan) সময়ে পাকিস্তানের আর্থিক পরিস্থিতি যতই খারাপ হক না কেন, তারা কিন্তু সর্বত্রই সন্ত্রাসবাদ কাজকর্মের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে। ২০১৩ সালে পাকিস্তানের ঋণের পরিমাণ ছিল ১৬.৩ মিলিয়ন, ২০১৪ সালে ছিল ১৮.২ মিলিয়ন, ২০১৫ সালে ছিল ১৯.৮ মিলিয়ন, ২০১৬ সালে ছিল ২২.৫ মিলিয়ন, ২০১৭ সালে ছিল ২৫.১ মিলিয়ন, ২০১৮ সালে ছিল ২৯.৮ মিলিয়ন এবং ২০১৯ সালে সব ছাড়িয়ে গিয়ে দাঁড়ায় ৪১.৫ মিলিয়ন। দিনে দিনে পাকিস্তানের ঋণের পরিমাণ বেড়েই চলেছে।
এছাড়াও পাকিস্তানের বাহ্যিক ঋণের পরিমাণও রয়েছে অনেক। বিগত সালের তুলনায় বাড়তে বাড়তে সেই ঋণ ২০১৬ সালে ৭২.৯৮ আরব ডলার পার করে যায়। তারপর থেকে এই বাহ্যিক ঋণের পরিমাণও ধীরে ধীরে বেড়ে গেছে। আগামী দিনে পাকিস্তান অনেক সংকটে পড়তে পারে বলে মনে করছে তারা। পাকিস্তানের সংবাদপত্রেও তা বারবার তুলে ধরা হচ্ছে।
এতকিছু স্বত্বেও ইমরান সরকার কোন দিকে ভ্রূক্ষেপ না করে সন্ত্রাসবাদে লাগাতার অর্থ ব্যয় করে চলেছে। এমনকি FATF ও পাকিস্তানকে হুঁশিয়ারি দিয়েছে। তা স্বত্বেও পাকিস্তানের উপর এর কোন প্রভাব পড়েনি।