বাংলাহান্ট ডেস্ক: রাজনৈতিক মতাদর্শ বদলালেন অভিনেতা পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় (parambrata chatterjee)? নির্বাচনের ফলাফল দেখে শেষমেষ তৃণমূলে যোগ দিচ্ছেন তিনি? শুক্রবার হঠাৎ করেই এমন সব প্রশ্ন উঠে আসতে শুরু করেছে রাজনৈতিক মহল তথা বিনোদন জগতে।
পরমব্রতকে জড়িয়ে হঠাৎ এমন জল্পনা কেন? আসলে এদিন বোলপুরে সার্কিট হাউসে বৈঠক করতে দেখা গেল পরমব্রত ও তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলকে (anubrata mondal)। টানা দু ঘন্টা কথাবার্তা মায় এক টেবিলে বসে দুপুরের খাওয়াদাওয়া সারলেন দুজনে। এদিন অনুব্রতর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন লাভপুরের বিধায়ক, বীরভূমের জেলাশাসক বিধান রায় ও পুলিস সুপার নগেন্দ্র ত্রিপাঠি।
এতকিছুর পরেও কি জল্পনা উঠবে না পরমব্রতর তৃণমূলে যোগ দেওয়া নিয়ে? কিন্তু অভিনেতার বক্তব্য, এ স্রেফ সৌজন্য সাক্ষাৎ ছিল। তিনি মাঝেমধ্যেই বোলপুরে ঘুরতে আসেন। এবারেও এসেছিলেন একটি ব্যক্তিগত কাজে। দুজনেই একই জায়গায় থাকায় অনুব্রত তাঁকে সার্কিট হাউসে ডেকে নেন। একসঙ্গে দুপুরের খাওয়া সারার প্রস্তাব দেন।
পরমব্রতর কথায়, তৃণমূলে যোগ দেওয়ার বা না দেওয়ার কোনো জল্পনাই নেই। তাঁর রাজনৈতিক মতামত আছে নিশ্চয়ই কিন্তু সরাসরি রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার কোনো ইচ্ছাই তাঁর নেই। সাংবাদিকদের সামনে এমনটাই সাফ জানিয়ে দিয়েছেন পরমব্রত। তবে তা সত্ত্বেও হঠাৎ প্রশাসনিক কর্তাব্যক্তিদের সঙ্গে বৈঠক সন্দেহ বাড়াচ্ছেই।
সম্প্রতি করন জোহরের ছবির প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়ে সংবাদ শিরোনামে উঠে আসেন পরমব্রত। করনের ছবিতে তিনি কাজ করতে ইচ্ছুক নন, এমনটাই জানিয়েছেন টলি অভিনেতা। কারণটা কী? পরমব্রত বলেন, অন্যান্যদের মতো করনের সঙ্গে কাজ করার প্রস্তাব পেয়ে খুশি হয়েছিলেন তিনিও। কিন্তু চরিত্রটি পছন্দ হয়নি তাঁর।
পরমের কথায়, চরিত্রটি শুনে তাঁর মনে হয়েছে সেখানে বিশেষ কিছুই করার নেই। এই মুহূর্তে কেরিয়ারের যে জায়গায় তিনি রয়েছেন সেখানে দাঁড়িয়ে এমন একটি চরিত্র করার ইচ্ছা তাঁর নেই বলেই স্পষ্ট জানিয়েছেন অভিনেতা। তবে ছবির চিত্রনাট্যের যথেষ্ট প্রশংসাও করেছেন পরমব্রত। দক্ষ অভিনেতা অভিনেত্রীদেরও দেখা যাবে এই ছবিতে। তাই অভিনেতার বক্তব্য, তিনি না থাকলেও দর্শকদের অবশ্যই ছবিটি দেখা উচিত।