সময়ের আগেই অবসর, আধাসামরিক বাহিনীতে ক্রমশ বাড়ছে আত্মহত্যার হারও! সামনে এল চাঞ্চল্যকর কারণ

বাংলাহান্ট ডেস্ক : সাধারণ মানুষ যাতে নিশ্চিন্তে ঘুমাতে পারে তার জন্য দেশের সুরক্ষায় নিজেদের নিয়োজিত করেছেন সেনা জওয়ানরা। তাদের জীবনটা যে কতটা কঠিন তা চার দেওয়ালের মাঝের নিশ্চিত নিরাপত্তায় বোঝা সম্ভব নয়। দিনের পর দিন, ঘন্টার পর ঘন্টা ধরে প্রতিকূল পরিস্থিতিতে ডিউটি করে যেতে হয় তাদের। খাওয়া, ঘুম বাদ দিয়ে দেশের সুরক্ষা করতে হয় আধাসামরিক বাহিনীর (Paramilitary Force) জওয়ানদের। কিন্তু এই অমানুষিক জীবনযাত্রায় পাল্লা দিয়ে আত্মহত্যার হার বাড়ছে বাহিনীতে।

আধাসামরিক বাহিনীতে (Paramilitary Force) বাড়ছে আত্মহত্যার হার

বিগত পাঁচ বছরে আধাসামরিক বাহিনীতে (Paramilitary Force) মোট আত্মহত্যার সংখ্যাটা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৭৩০ এ। সম্প্রতি রাজ্যসভাকে দেওয়া স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তথ্যে উঠে এসেছে এমনই ভয়াবহ সত্য। তথ্য অনুযায়ী, বেশিরভাগ আত্মহত্যার কারণই ব্যক্তিগত বলে জানা গিয়েছে। আধাসামরিক বাহিনীর (Paramilitary Force) সদস্যদের মধ্যে মূলত দুই ধরণের প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে।

সময়ের আগেই অবসর নিচ্ছেন জওয়ানরা: সরকারি তথ্য অনুযায়ী, আত্মহত্যা ছাড়াও ভলান্টারি রিটায়ারমেন্ট বা সময়ের আগেই স্বেচ্ছাবসর নেওয়ার প্রবণতাও বাড়ছে আধাসামরিক বাহিনীর (Paramilitary Force) সেনাদের মধ্যে। কী কারণে বাড়ছে আত্মহত্যার প্রবণতা, তার কারণ খতিয়ে দেখতে মন্ত্রকের তরফে একটি টাস্ক ফোর্স নিয়োগ করা হয়েছিল।

আরো পড়ুন : ভারতের পতাকা মাথায় তুলে চাইতে হবে ক্ষমা! বাংলাদেশ বয়কটের ডাক দিল অখিল ভারত হিন্দু মহাসভা

কেন বাড়ছে এই প্রবণতা: তাদের রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রায় ৮০ শতাংশ আত্মহত্যার ঘটনাই ঘটেছে জওয়ানরা (Paramilitary Force) ছুটি নিয়ে বাড়িতে ফেরার পর। আত্মহত্যার কারণ খতিয়ে দেখতে বেশিরভাগ সময়ই দেখা গিয়েছে পরিবারের সদস্যদের মৃত্যু। এরপরের কারণই হল সাংসারিক অশান্তি বা বিবাহ বিচ্ছেদ। পরিবারের সঙ্গে যথেষ্ট সময় কাটাতে না পারা, ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার ঠিকমতো সুযোগ দিতে না পারার কারণেও আত্মহত্যার ঘটনা ঘটছে বলে জানা যাচ্ছে।

আরো পড়ুন : ভারতের সঙ্গে এঁটে উঠতে শেষমেশ পাকিস্তান-চিনের সাথে সন্ধি! তলে তলে বিরাট ষড়যন্ত্র বাংলাদেশের

রিপোর্ট বলছে, চলতি বছরের অক্টোবরে ৬৩০২ জন জওয়ান পরিবারের সঙ্গে ১০০ দিনের ছুটি কাটিয়েছে। অথচ গত বছর এই সংখ্যাটা ছিল ৮৬৩৬ জন। এমতাবস্থায় যাতে আরো বেশি সংখ্যক জওয়ান যাতে ১০০ দিনের ছুটি পায় তার জন্য জরুরি ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছে টাস্ক ফোর্স।