বাংলাহান্ট ডেস্ক : এ যেনো অনেকটা “ছিল রুমাল হয়ে গেল বিড়ালের” মতো। স্কুল সার্ভিস কমিশন দুর্নীতি কাণ্ডে বেআইনিভাবে দুর্নীতির অভিযোগ বেশ কিছুদিন আগে চাকরি হারিয়েছেন কন্যা অঙ্কিতা। এবার মন্ত্রিত্ব গেল তৃণমূল নেতা পরেশ অধিকারীর। মেখলিগঞ্জের ডাকসাইটে নেতা তিনি। সারাদিন লালপাতি লাগানো গাড়িতে ঘুরেই অভ্যাস তার। কিন্তু বুধবার তাকে দেখা গেল সম্পূর্ণ অন্য রূপে। মন্ত্রিত্ব হারানোর আভাস পেয়েই লালবাতি গাড়ি ছেড়ে তিনি চেপে বসলেন স্কুটারে। সূত্রের খবর মেখলিগঞ্জ মহকুমা হাসপাতালে রোগী কল্যাণ সমিতির বৈঠকে পরেশ অধিকারী আসেন তার স্কুটার চেপে।
মেখলিগঞ্জ এলাকার বাম জামানায় ডাকসাইটে নেতা পরেশ অধিকারী। রাজ্যে পরিবর্তনের পর আরো অন্যান্য নেতার মত যোগদান করেন তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূল কংগ্রেসের যোগদানের পুরস্কার স্বরূপ লাভ করেন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর পদ। এরপর হঠাৎ করে স্কুলের শিক্ষিকার চাকরি পাওয়া তার মেয়ের যোগ্যতা নিয়ে উঠতে থাকে প্রশ্ন।
তার কন্যা অঙ্কিতা কি সত্যিই নিজের যোগ্যতায় চাকরি পেয়েছিলেন? সেই বিষয়ে তদন্ত শুরু হলে আদালতের নির্দেশে অবৈধভাবে চাকরি নেওয়ার অভিযোগে চাকরি হারান অঙ্কিতা। সরাসরি অভিযোগ ওঠে শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর দিকে। দলের অন্দরে প্রশ্ন উঠতে থাকে এত ঘটনার পরেও তৃণমূল কংগ্রেস দল কেন পরেশের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা গ্রহণ করল না!
এত অভিযোগের পরেও দেখা যায় পরেশ অধিকারী তার পুরনো লাল বাতি লাগানো গাড়ি চেপেই ঘুরে বেড়াচ্ছেন। বুধবার রাজ্য মন্ত্রিসভার রদবদলের ঘটনা সামনে আসতেই তিনি আঁচ করতে পারেন হয়তো তার মন্ত্রিত্ব আর থাকবে না। তাই রোগী কল্যাণ সমিতির মিটিংএ হাজির হন তার নিজের স্কুটি চেপে। মন্ত্রিত্ব থেকে বহিষ্কারের পর তার মন্তব্য “দলের সিদ্ধান্ত মাথা পেতেই নেব।”