বাংলাহান্ট ডেস্ক : মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীর চাকরি কেলেঙ্কারিতে নাম জড়িয়েছে রাজ্যের মন্ত্রী পরেশ অধিকারীর। এই নিয়ে অস্বস্তিতে রয়েছে তৃণমূল। এরই মধ্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কর্মসূচিতে ডাক পেলেন না পরেশ অধিকারী। এর আগে মন্ত্রিসভার প্রায় সব বৈঠকেই পরেশ হাজির থাকতেন। দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পরে পর পর দু’বার মন্ত্রিসভার বৈঠকে দেখা যায়নি পরেশকে। তবে কি পরেশকে ‘সাইড’ করে দিচ্ছে শাসকদল? উঠছে প্রশ্ন।
তবে, মেখলিগঞ্জ থেকে এই বিধায়ক বলেন, ‘আলিপুরদুয়ারের কর্মসূচিতে কোচবিহারের কাউকেই ডাকা হয়নি।’ তৃণমূল কংগ্রেসের কোচবিহার জেলা সভাপতি পার্থপ্রতিম রায়কেও ডাকা হয়নি বলে খবর। এটাই এখন পরেশের কাছে সান্ত্বনা। কোচবিহার-আলিপুরদুয়ার মিলিয়ে তৃণমূলের ৩ জন বিধায়ক রয়েছেন। তার মধ্যে এক জন মন্ত্রী। আশপাশের জেলায় তৃণমূলের কোনও মন্ত্রী নেই। স্বাভাবিক ভাবেই পরেশের গুরুত্ব একটু বেশি থাকা উচিত বলেই মনে করেন জেলা তৃণমূলের অনেকে।
দলের একটি অংশের দাবি, দলে পরেশের গুরুত্ব বরাবর ভাল। এর আগে মুখ্যমন্ত্রীর একাধিক কর্মসূচিতে তাঁকে দেখা গিয়েছে। যদিও জেলার অনেক নেতাই বলছেন, যতক্ষণ না পর্যন্ত পরেশের দোষমুক্ত হচ্ছেন ততক্ষণ দূরত্ব বজায় রাখা হবে। ঘাসফুল শিবিরের একাধিক জনের বক্তব্য, পরেশ অধিকারীর বিষয়টি এখন তদন্ত সাপেক্ষ। তদন্ত যতক্ষণ পর্যন্ত না সম্পূর্ণ হচ্ছে এবং দোষমুক্ত হচ্ছেন পরেশ ততক্ষণ তাঁকে এড়িয়ে চলা হবে বলেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। না হলে অনেক প্রশ্নের সম্মুখীণ হতে হবে দলকে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে আলিপুরদুয়ারে পৌঁছন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার তিনি দলের একটি কর্মিসভায় যোগ দেবেন। বুধবার একটি গণবিবাহের অনুষ্ঠানে হাজির থাকার কথা মুখ্যমন্ত্রীর। পরে তিনি বাগডোগরা হয়ে কলকাতায় ফিরবেন। প্রশাসনিক সূত্রে খবর, কোনও কর্মসূচিতেই ডাকা হয়নি পরেশকে। এ দিন কলকাতায় মন্ত্রিসভার বৈঠকেও তিনি যোগ দেননি।